বক্তা: বিশ্বভারতী চিনা ভবনে আলোচনাসভায় স্মৃতিচারণ করছেন অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর। —নিজস্ব চিত্র।
বিশ্বভারতীর আর্থিক টানাটানি দেখে অধ্যাপক তান ইয়ুনশান জানিয়েছিলেন, তিনি বেতন নেবেন না। শুক্রবার বিশ্বভারতীর চিনা ভবনে ‘ভারত-চিন সাংস্কৃতিক স্বর’ শীর্ষক আলোচনাসভায় অধ্যাপক তানের ছাত্র অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি চারণায় উঠে এল এমন অনেক কথা। অধ্যাপক তান ইয়ুনশানের সহযোগিতাতেই ১৯৩৭ সালে চৈনিক বিদ্যাচর্চা কেন্দ্র গড়ে উঠেছিল বিশ্বভারতীতে। ভারতে প্রথম।
চিনের ভারতীয় দূতাবাস, ইণ্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন, ইনস্টিটিউট অফ চাইনিজ স্টাডিজ (দিল্লি) ও এশিয়া ইন গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স-এর যৌথ উদ্যোগে আলোচনাসভাটি শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর চীনা ভবনে। সভার সূচনা অনুষ্ঠানে এ দিন উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপনকুমার দত্ত, কলকাতায় চিনের কনসাল জেনারেল মা ঝানয়ু, আইসিসিআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল রিভা গঙ্গোপাধ্যায় দাস, চাইনিজ পিপলস অ্যাসোশিয়েশন অফ ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজ-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হু সিশে, প্রবীণ অধ্যাপক অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রমুখ। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মা ঝানয়ু বলেন, “দুই দেশের সু-সম্পর্ক যত গভীর হবে, তত দেশের অভ্যন্তরে উন্নয়নে নতুন বিপ্লব আসবে।”
কী ভাবে রবীন্দ্রনাথ অধ্যাপক তানের সহযোগিতায় চিনা ভবন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এ দিনের সভায় সেই স্মৃতিচারণা করেন অমিতেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বলেন, “প্রথম প্রথম অধ্যাপক তানের কাছে পড়তে একটু অসুবিধা হতো। পরে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কোথা থেকে তহবিল পাওয়া যায়, কী ভাবে আরও বই আনানো যায়— এই সমস্ত বিষয় নিয়ে গুরুদেব নিয়মিত অধ্যাপক তানের সঙ্গে আলোচনা করতেন।”
অনুষ্ঠান শেষে চৈনিক লোকশিল্পের একটি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। আজ, শনিবার পর্যন্ত চলবে ওই প্রদর্শনী ও আলোচনা সভা।