বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বুধবার নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা হল স্নাতকস্তরের চূড়ান্ত পর্বের। পরীক্ষা চলাকালীন নতুন করে আর কোনও সমস্যা হয়নি। সিউড়ির বীরভূম মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ পার্থসারথি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উপাচার্যের নির্দেশে বুধবার পরীক্ষা চলাকালীন সিউড়ি কলেজে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। আগামী দিনগুলিতেও তাঁরা থাকবেন। ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।’’
অন্য দিকে হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘‘কলেজে না এলেও ওঁরা খোঁজ নিয়েছেন কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা।’’
প্রসঙ্গত স্নাতকস্তরের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা চলাকালীন মঙ্গলবার জেলার ওই দুটি কলেজে তাণ্ডব চালিয়ে ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টুকলি হাতে নাতে ধরে এক ছাত্রীর খাতা বাতিল করে দিয়েছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের পরীক্ষক। পরীক্ষা শুরুর দু’ ঘণ্টা পরে এসে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে এক ছাত্রের এমন বায়না মেনে নেননি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ। কেন খাতা বাতিল হল ওই ছাত্রীর, কেনই বা মাত্র ঘন্টা দু’য়েক পরে আসায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হল না সংশ্লিষ্ট ছাত্রকে, সে নিয়ে অভিযোগ তুলে তাণ্ডব চালিয়ে ছিল শাসকদেলের ছাত্র সংসদের সদস্য ও বহিরাগতরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনের কাছে এমনটাই অভিযোগ ছিল দুই তাণ্ডবে আতঙ্কিত ও বিরক্ত দুই অধ্যক্ষের। তার পরই এমন ব্যবস্থা।
ধর্ষণে অভিযুক্ত কিশোর। এক কিশোরীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল পড়শি এক কিশোরের বিরুদ্ধে। দুবরাজপুরের লোবা পঞ্চায়েত এলাকায় সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার বিকালে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর বছর বারোর মেয়ে ওই দিন রাত ৯টা নাগাদ শৌচকর্ম করতে বাইরে গিয়েছিল। তখনই বছর ষোলোর এক পড়শি কিশোর তাঁর মেয়ের মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তুলে নিয়ে যায়। স্থানীয় ইটভাটার কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে গিয়ে তার উপর অত্যাচার করে। মেয়ের খোঁজ করতে বেরিয়ে পরে তাঁরা ওই ঘরের কাছে পৌঁছলে অভিযুক্ত কিশোর পালিয়ে যায় বলে নির্যাতিতার বাবার দাবি। ওই কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আনার পরেও ওই কিশোর এবং তার পরিবার থানায় অভিযোগ না করার জন্য ভয় দেখাচ্ছিল। তার জন্যই অভিযোগ জানাতে দেরি হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে, নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে।