তারে কাপড় মেলতে গিয়ে মা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছটফট করছেন— তা দেখে ছুটে এসেছিলেন ছেলে অচিন্ত্য (২২)। কিছুটা দূরে তখন স্নান করছিলেন অচিন্ত্যর বাবা লক্ষ্মণ বাগদি (৪৫)। মুহূর্তের মধ্যে মা-ছেলেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে দেখে পড়িমড়ি করে ছুটে এসেছিলেন তিনিও। বরাত জোরে রেখাদেবী বেঁচে গেলেও মৃত্যু হল বাবা ও ছেলের! বীরভূমের ইলামবাজার থানার জয়দেব পঞ্চায়েতের সুগ়়ড় গ্রামের বুধবারের ঘটনা।
চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে পড়শিরা ছুটে আসেন ওই বাড়িতে। তাঁরাই দ্রুত ওই তিন জনকে ইলামবাজার ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি নিয়ে যান। ততক্ষণে অচিন্ত্য ও লক্ষ্ণণবাবুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। বাবা-মা, দাদার অমন অবস্থা দেখে ছুটে আসতে গিয়ে পড়ে আহত হয়েছে বছর ষোলোর সুমনও। এ দিকে, এমন মর্মান্তিক খবরে কার্যত বাকরুদ্ধ রেখাদেবী। কোনও মতে তিনি বলেন, ‘‘পরিবারটাই তো শেষ হয়ে গেল!’’
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, বিদ্যুতের তার লিক করে ওই লোহার তারের সংস্পর্শে এসেছিল। সেই তারে ভেজা কাপড় মেলাতেই বিপত্তি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়না-তদন্তের জন্যে দেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ইলামবাজারের সুগড় গ্রামে।