পড়ে রয়েছে ছাই। নিজস্ব চিত্র।
গোয়ালে আগুন লেগে পুড়ে মারা গেল ১০টি গরু। জখম হয়েছে প্রায় ২০টি গরু। বড়জোড়ার পখন্না গ্রামপঞ্চায়েতের রাজপ্রসাদপুর এলাকার এই ঘটনায় ওই গ্রামের একটি পরিবারের চার ভাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গোয়াল থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকার আরও দুই ব্যক্তির খড়ের পালুইয়ে। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়েছে ধান।
রবিবার মাঝ রাতে আগুন লাগে রাজপ্রসাদপুরের ঘোষ পরিবারের অশোক ঘোষ, দীপেন ঘোষ, শ্যাম ঘোষ ও অক্রুর ঘোষের গোয়ালে। চারটি গোয়ালে অন্তত ৩৫টি গরু ছিল। মূলত গরুর দুধ বিক্রি করেই সংসার চালান তাঁরা। ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন ঘোষ পরিবারের সদস্যেরা। অশোকবাবু, দীপেনবাবুরা জানান, ঘটনার সময়ে তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন বলে প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। পরে হইচই শুরু হয়ে যায়। আগুন লাগার খবর পেয়ে বড়জোড়া পুলিশ দুর্গাপুরের দমকল বিভাগকে জানায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে অশোকবাবুদের পাশাপাশি তাঁদের পড়শি ফটিক ঘোষ ও দ্বিজপদ ঘোষের পালুইও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। আগুনে জখম গরুগুলির চিকিৎসা শুরু হয়েছে ওই গ্রামেই। ফটিকবাবু, দ্বিজপদবাবুদের আক্ষেপ, “চাষ করে যেটুকু ধান হয়েছিল সবই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে গেল।” অশোকবাবু, শ্যামবাবুরা বলেন, “এত বড় ধাক্কা সামলাবো কী করে, ভেবে কূল পাচ্ছি না।’’ ঠিক কী ভাবে আগুন লাগল সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় দমকল এবং পুলিশ। সোমবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন বড়জোড়ার বিধায়ক সুজিত চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সুখেন বিদ, বড়জোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কাজল পোড়েল, বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়, সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরী-সহ অনেকেই। সুজিতবাবু প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য। তিনি বলেন, “এই পরিবারটিকে যাতে সাহায্য করা হয় সে বিষয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সঙ্গে আলোচনা করব।” বিডিও (বড়জোড়া) পঙ্কজ আচার্য বলেন, “আমরা ওই গ্রামে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট নিয়ে এসে জেলায় পাঠিয়েছি। সরকারি নিয়ম অনুসারে যতটা যা করার আমরা করব। তার বাইরেও কিছু করা যায় কি না দেখছি।’’