ট্রেন স্টেশনে থামতেই চালক দেখতে পেলেন ইঞ্জিনের পরের লাগেজ ভ্যান (মাল রাখার কামরা) থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। অথচ কামরার দরজা বন্ধ। চালক স্টেশনে কর্তব্যরত রেলকর্মীদের খবর দিলে নেভানো হয় আগুন। অবাক হওয়ার আরও বাকি ছিল। কামরার ভিতর থেকে আওয়াজ পেয়ে দরজা যন্ত্র দিয়ে কাটতেই দেখা গেল, ভিতরে বসে এক যুবক!
রবিবার গভীর রাতে রামপুরহাট স্টেশনের ঘটনা। এই সব কাণ্ডের পরে পাক্কা দু’ঘণ্টা পরে গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় ১৩০৭২ ডাউন হাওড়াগামী জামালপুর সুপার। রামপুরহাটের স্টেশন ম্যানেজার পুষ্কর কুমার জানান, রবিবার রাত ১টা ৩২ মিনিটে ওই ট্রেনটি স্টেশনে ঢোকে। আগুন নিভিয়ে দেওয়ার পরে পরে ৩টে ৩৮ মিনিটে ট্রেন রামপুরহাট স্টেশন থেকে ছাড়ে। তিনি জানান, ঘটনায় রামকুমার রাম নামে বিহারের দ্বারভাঙা এলাকার বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবককে আটক করে রেলপুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, চালক লাগেজ ভ্যানে আগুন লাগার খবর দিতেই রেলকর্মীরা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ছুটে আসেন। দরজা হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করেন। কিন্তু দরজা খুলতে না পেরে স্টেশনে কর্তব্যরত ইন্সপেক্টর অফ ওয়ার্কসের কর্মীরা এসে কামরার ভিতরের আগুনে জল ছেটাতে শুরু করেন। ধোঁয়ার পরিমাণ কমলে দরজা একটু ফাঁক করে রেলকর্মীরা বন্ধ কামরার ভিতরে এক জনকে দেখতে পান। রেলপুলিশের সাঁইথিয়া থানার ওসি অপু দাস জানান, আরপিএফ ওই যুবককে গ্রেফতার করে তাঁদের হাতে তুলে দিয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ধৃতকে আদালতে তোলা হবে। যুবককে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে রেলপুলিশের অনুমান, ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে কী ভাবে তিনি লাগেজ ভ্যানে চাপলেন, সেটা তদন্ত করে দেখা হবে।