জলের তোড়ে ভাঙল কজওয়ে

জলের তোড়ে ভেঙে গেল কূশকর্ণিকা নদীর উপরে থাকা একটি কজওয়ে। শুক্রবার বিকেলের ওই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন রাজনগর এলাকার ১০-১২টি গ্রামের মানুষ। শনিবার রাজনগরের বিডিও দীনেশ মিশ্র জানান, কজওয়ে ভাঙার খবর মিলতেই জেলাপরিষদ ও জেলাশাসককে তা জানানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজনগর শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৫ ০২:৩৪
Share:

রাজনগরে কূশকর্ণিকা নদীর উপরে থাকা এই কজওয়েটিই ভেঙে গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

জলের তোড়ে ভেঙে গেল কূশকর্ণিকা নদীর উপরে থাকা একটি কজওয়ে। শুক্রবার বিকেলের ওই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন রাজনগর এলাকার ১০-১২টি গ্রামের মানুষ।

Advertisement

শনিবার রাজনগরের বিডিও দীনেশ মিশ্র জানান, কজওয়ে ভাঙার খবর মিলতেই জেলাপরিষদ ও জেলাশাসককে তা জানানো হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে কেউ যাতে কোনও ঝুঁকি না নেন, সে ব্যাপারে সতর্কতা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় গামারকুণ্ডু ও গণেশপুর গ্রামের মাঝে থাকা ওই কজওয়ে উপচে গত কয়েক দিন ধরেই জল যাচ্ছিল। তার উপর দিয়েই যাতায়াত করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকে সেই কজওয়েরই একটি বড় অংশ ভেঙে যাতায়াত পুরোপরি বন্ধ হয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ৮ বছর ধরে ভেঙে থাকার পরে এ বারই নতুন করে তৈরি করা হয়েছিল কাঁটাশোলা সেতু। ফলে হরিপুর, রামডাঙা, কুমকুমা-সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বর্ষায় কাঁটাশোলা সেতু ও কূশকর্ণিকা পেরিয়ে রেশন নিতে গামারকুণ্ড ও চন্দ্রপুর পঞ্চায়েতে আসতেন। অন্য দিকে, এই রাস্তা ধরেই গামারকুণ্ডু গ্রামের ছেলেমেয়েরা সিউড়ির লাঙুলিয়া স্কুলে পড়তে যেত। সেতু ভেঙে পড়ায় দুর্ভোগ বাড়ল বলে জানিয়েছেন হরিপুর গ্রামের যুবক তাপস রায়, বনকর্মী রামকুমার মাজি, বধূ পূর্ণিমা ভাণ্ডারী বা কুমকুমার কৃষিজীবী বৃন্দাবন মণ্ডল, সুধাময় ঘোষ, গামারকুণ্ড গ্রামের অজিত মণ্ডল, গোবিন্দ পাত্রেরা। অন্য দিকে, সাজিনা, গণেশপুর, সীতাশাল, কানমোড়া— এমনকী, ভবানীপুর অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বলছেন, ‘‘নিত্য প্রয়োজনে ও কাজে এই সেতুর উপর দিয়েই সিউড়ি যাতায়াত করতাম। ভাসাপুল ভেঙে যাওয়ায় অনেকটা ঘুরে সিউড়ি পৌঁছতে হবে।’’ সকলেই দ্রুত সেতুটির সংস্কারের দাবি তুলেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন