ফুড সেফটি লাইসেন্স ছাড়া খাবারের ব্যবসা চালানোর জন্য একটি দোকানের জরিমানা করল প্রশাসন। কয়েক মাস আগে শহরের দেশবন্ধু রোডের একটি শপিং মলে একটি নামী খাদ্য বিপণির ফ্র্যানচাইজি নিয়ে ওই দোকানটি চালু হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ অগস্ট কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে দুপুরের খাবার হিসাবে বিরিয়ানি সরবরাহ করার বরাত পেয়েছিল দোকানটি। কিন্তু প্যাকেট খোলার পরে অনেক পড়ুয়া এবং অভিভাবকই অভিযোগ করেন, খাবার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তদন্তে নেমে সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। প্রশাসন জানতে পারে, দোকানটির কোনও ফুড সেফটি লাইসেন্স নেই।
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ২০১১ সালের বিধি মোতাবেক, ফুড লাইসেন্স ছাড়া খাবারের ব্যবসা করা যায় না। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘‘অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় দোকানটির ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা করতে বলা হয়েছে।’’ আইনি নথিপত্র না থাকা সত্বেও কী ভাবে নামজাদা সংস্থার ফ্র্যাঞ্চাইজি পেয়ে গেল ওই দোকানটি, ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা নিয়েও। নষ্ট খাবারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার আগে কেন প্রশাসনের টনক নড়েনি, লাইসেন্স না থাকা সত্বেও কী ভাবে সরকারি অনুষ্ঠানে খাবার সরবরাহের বরাত পেল দোকানটি— এই বিষয়গুলি নিয়েও শহরের বাসিন্দাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এ প্রসঙ্গে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি।
ওই দোকানটির কর্ণধার রাহুল পোদ্দার ফুড লাইসেন্স না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা আর্থিক জরিমানা মেনে নিয়েছি। ১৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্স নিতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশও পালন করা হবে।’’
কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানে নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার সরবরাহের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ‘‘আমরা নষ্ট খাবার দিইনি। অনেক অর্ডার থাকায় তাড়াহুড়োয় গরম খাবার ফয়েলে প্যাক করে ফেলেছিলেন কর্মীরা। তাই একটু গন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’’