জেলায় আক্রান্ত ২৮
Dengue

পুরুলিয়ায় ডেঙ্গি আরও চার জনের

আরও চার ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলল পুরুলিয়ায়। আক্রান্তদের মধ্যে তিন জনই পুরুলিয়া পুরএলাকার বাসিন্দা। অন্যজন হুড়া ব্লকের বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই নিয়ে পুরএলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ০১:২৯
Share:

বন্ধ:১৯ নম্বর ওয়ার্ডে কমলা সিনেমা হলের সামনে নিকাশি। নিজস্ব চিত্র

আরও চার ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলল পুরুলিয়ায়। আক্রান্তদের মধ্যে তিন জনই পুরুলিয়া পুরএলাকার বাসিন্দা। অন্যজন হুড়া ব্লকের বাসিন্দা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই নিয়ে পুরএলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০। জেলায় ২৮। পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল সূত্রের খবর, আরও এক জনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। তবে ওই ব্যক্তি জেলার নন, ঝাড়খণ্ডের বোকারো জেলার চন্দনকিয়ারি এলাকার বাসিন্দা।

Advertisement

শনিবার পরীক্ষায় শহরের ১৪, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় তিন জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। ওই তিনটি ওয়ার্ড প্রায় পাশাপাশি। একটি পুরুলিয়ার বিধায়কের। অন্যটি উপ-পুরপ্রধানের। শহরের মাঝামাঝি এলাকা থেকে তিন জনের দেহে ডেঙ্গির জীবাণু মেলায় চিন্তা বেড়েছে স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভার। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এক জন এখনও ভর্তি রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।

শহরের কেন্দ্রস্থলে ফের একাধিক ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মেলায় এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে জ্বরের সমীক্ষা শুরু করেছে পুরসভা। পুরসভার স্বাস্থ্য শাখার নোডাল অফিসার সুমিত বক্সী জানান, যে এলাকাগুলিতে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মিলেছে, সেখানে এই সমীক্ষা হচ্ছে। একই সঙ্গে সচেতনতা প্রচারের কাজও চলছে। তিনি জানান, ওই ওয়ার্ডগুলিতে বেশ কয়েকজন জ্বরে আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে, শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের হদিশ মেলায় গত রবিবার পুরসভার সঙ্গে বৈঠক করে শহরের প্রধান নিকাশি নালাগুলি থেকে জমা জল সাফাইয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। এ দিন ওই ওয়ার্ডগুলিতে গিয়ে দেখা যায়, নিকাশি নালার একাধিক জায়গায় আবর্জনা ও জল জমে রয়েছে। তবে রবিবার এলাকায় গিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কার কার জ্বর হয়েছে সেই খোঁজ নিতে শুরু করেছেন। সকাল থেকেই নিকাশি নালা পরিষ্কার করার ধুম। মশার লার্ভা মারার ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।

১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি নিজে ওই এলাকারই বাসিন্দা। সুদীপবাবুর দাবি, এই ওয়ার্ডে মোট তিন জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। দু’জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতায়। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন আমি নিজে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুরসভার কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে বলেছি, জ্বর হলে হাসপাতালে যেতে।’’

তবে নিকাশি নালা সাফাই নিয়ে এলাকা অভিযোগ শোনা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নালাগুলির একাধিক জায়গায় আবর্জনা জমে রয়েছে। সঙ্গে জলও। এক সাফাই কর্মী বলেন, ‘‘কিছু জায়গায় নিকাশি নালার উপরে এমন ভাবে কংক্রিটের স্ল্যাব তৈরি করা হয়েছে যে পুরো নালা সাফাই করা যাচ্ছে না।’’ সাফাইয়ের তদারকিতে থাকা শিবশঙ্কর কর্মকারের কথায়, ‘‘কী করে পুরো জল পরিস্কার হবে? এত আবর্জনা ফেলা হয়েছে যে টেনে বের করা যাচ্ছে না!’’ ফলে কিছুটা জল জমেই থাকছে। অন্যদিকে, স্প্রে ও নালা পরিষ্কার করার কাজ করছেন যাঁরা, তাঁরাও এ দিন কাজের জন্য মুখোশ বা দস্তানা দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন।

১৯ নম্বর ওয়ার্ড শহরের উপ-পুরপ্রধান বৈদ্যনাথ মণ্ডলের। তিনি বলেন, ‘‘আমরা সচেতনতা প্রচার করছিলাম। তবে এলাকা থেকে আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আরও বেশি করে সচেতনতা প্রচার করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement