আমগাছ বেয়ে হোম থেকে পালাল তরুণী

হোম কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর নাম রোশনি হেমব্রম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৩
Share:

আমগাছের নীচে টুল লাগিয়ে গাছ বেয়ে উঠে রান্নাঘরের শেডের উপর থেকে রাস্তায় ঝাঁপ মেরে পালান ওই তরুণী।

সরকারি হোম থেকে পালাল মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণী। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট নিশ্চিন্তিপুর এলাকার ‘পুষ্পরাগ স্বধার গৃহে’।

Advertisement

হোম কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁদের দাবি, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তরুণীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর নাম রোশনি হেমব্রম। বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দুমকার বোলপুর গ্রামে।

হোম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৬ ডিসেম্বর ওই তরুণীকে মল্লারপুর বাজারে ঘোরাঘুরি করতে দেখে পুলিশ। তাঁকে সেই দিনই রামপুরহাট আদালতের নির্দেশে হোমে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন ওই হোমে ১৬ জন মহিলা থাকেন। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫ টা নাগাদ যোগ প্রশিক্ষণ চলছিল হোমের হলঘরে। সন্দেহ করা হচ্ছে, সেই সময়ই ওই আদিবাসী তরূণী শৌচাগার যাওয়ার অজুহাতে হোম থেকে বেরিয়ে যায়।

Advertisement

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হোমের রান্নাঘরের কাছে একটি আমগাছের নীচে টুল লাগিয়ে ওই তরুণী গাছ বেয়ে উঠে রান্নাঘরের শেডের উপর থেকে রাস্তায় ঝাঁপ মেরে পালান।

হোমের সুপারভাইজার তাপসী সালুই বলেন, ‘‘রামপুরহাট হাসপাতালে ওর চিকিৎসা চলছে। শুক্রবারও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ ভাবে স্বল্পভাষী এবং আপাত নিরীহ ওই তরুণী পালিয়ে যাবে ভাবতে পারছি না।’’

হোমের সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা। হোমটি দীর্ঘদিন ধরে পুরনো বাড়িতে চলছে। দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য সরকারের কাছে জায়গা চাওয়া হচ্ছে। তা পেলে আবাসিকদের আরও ভাল নিরাপত্তা দেওয়া যাবে।’’ এই বিষয়ে হোম কর্তৃপক্ষ এসডিও, এসিজেএম আদালত, জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক সহ অন্য দফতরে খবর পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। রামপুরহাট ১ ব্লকের বিডিও দীপাণ্বিতা বর্মন জানান, হোমকর্মীরা রামপুরহাট থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই তরুণীর খোঁজ চালাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন