তিন বছর নিখোঁজ তরুণী, মাটি খুঁড়েও মিলল না দেহ

তিন বছর আগে বছর উনিশের পূজার সঙ্গে বিয়ে হয় মুলুকচাঁদের। স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় খেতমজুর মুলুক বিয়েতে রাজি ছিল না। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান ও বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:২০
Share:

ফের বাঁকুড়ার এক তরুণীকে মেরে পুঁতে দেওয়ায় অভিযোগ উঠল। মধ্যপ্রদেশের ভোপালের সাকেতনগরে ‘প্রেমিক’ উদয়ন দাসের বাড়িতে পোঁতা ছিল বাঁকুড়ার রবীন্দ্র সরণির আকাঙ্ক্ষা শর্মার দেহ। একই শহরের আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা পূজা বাউড়ি তিন বছর ধরে নিখোঁজ। পূজা নিখোঁজ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত তার স্বামী মুলুকচাঁদ সেন সম্প্রতি ধরা পড়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই যুবক তাদের কাছে স্বীকার করেছে, স্ত্রীকে মেরে বর্ধমান ২ ব্লকের বেলনা গ্রামে নিজেদের বাড়ির পাশে একটি বাড়ির মেঝেতে পুঁতে রেখেছে সে। যদিও বৃহস্পতিবার ধৃতকে নিয়ে গিয়ে মেঝে খুঁড়ে তল্লাশি চালিয়েও কোনও দেহ পায়নি পুলিশ। ধৃতকে ফের জেরা করা হচ্ছে।

Advertisement

তিন বছর আগে বছর উনিশের পূজার সঙ্গে বিয়ে হয় মুলুকচাঁদের। স্থানীয় সূত্রের খবর, পেশায় খেতমজুর মুলুক বিয়েতে রাজি ছিল না। বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রী-র মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। পূজার পরিবারের দাবি, ২০১৪ সালের এপ্রিলে তাঁদের মেয়ে রায়নার সেহরাবাজারে এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন। মুলুকচাঁদ সেখানে তাঁকে আনতে যায়। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে ওই আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বেরনোর পর থেকে খোঁজ নেই পূজার। বাপের বাড়ির লোকেরা খোঁজ করায় উদয়নের মতো মুলুকচাঁদও নানা সময়ে নানা ‘গল্প’ ফাঁদে বলে অভিযোগ। ২০১৪-র মে মাসে জামাই ও মেয়ের শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধে বাঁকুড়া মহিলা থানায় অপহরণের অভিযোগ করেন পূজার মা মঞ্জু বাউড়ি। পুলিশ শ্বশুর, শাশুড়িকে ধরলেও পালিয়ে যায় মুলুকচাঁদ।

গত রবিবার বর্ধমান থেকে মুলুকচাঁদকে ধরে বাঁকুড়া মহিলা থানা। সোমবার আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের পুলিশ হেফাজত হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত প্রথমে তাদের কাছে দাবি করে, স্ত্রী-কে খুন করে ডিভিসি-র সেচখালে ফেলে দিয়েছে সে। কিন্তু বিশদ জানতে চাওয়াতেই বয়ান বদলে মুলুকচাঁদ দাবি করে, তিন বছর আগে স্ত্রী-র দেহ বাড়ির পাশে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির মেঝেতে পুঁতে দেয় সে। এখন সেই বাড়িতে লোক থাকে। এ দিন বর্ধমান এবং বাঁকুড়া পুলিশ এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে বেলনা গ্রামের ওই বাড়িতে যায়। এখন সে বাড়িতে লোক থাকে। মুলুকচাঁদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গায় মেঝে খোঁড়ে পুলিশ। তবে পূজার দেহ মেলেনি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন