বদলির প্রতিবাদে কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তি পুরুলিয়ায়

দফতরের তিন কর্মীকে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করলেন পুরুলিয়ার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:৪৩
Share:

সুনসান জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। বুধবার তোলা নিজস্ব চিত্র।

দফতরের তিন কর্মীকে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করলেন পুরুলিয়ার জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠনের কর্মীরা। কর্মবিরতির জেরে বুধবার সারা দিন দফতরের কাজ বন্ধ থাকে। দূর থেকে এসে ফিরে যেতে হয় অনেককে। তবে তৃণমূল প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী ইউনিয়নের পুরুলিয়া শাখা সম্পাদক দেবব্রত কবিরাজের বক্তব্য, তাঁরা দফতরের আধিকারিকদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দফতরের একাংশের দুর্নীতির প্রতিবাদে বাধ্য হয়েই কর্মবিরতি পালন করেছেন।

Advertisement

তৃণমূল প্রভাবিত ওই কর্মী সংগঠনটির অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতারাতি বদলি করা হয়েছে জেলা দফতরের এক বিশেষ রাজস্ব আধিকারিক এবং পুরুলিয়া ১ ও বলরামপুর ব্লকের দুই রাজস্ব আধিকারিককে। দাবি, বদলি হওয়া তিন জনই তাঁদের সংগঠনের সদস্য। দেবব্রতবাবুর বলেন, ‘‘বদলির জন্য দফতরের নির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সে সবের তোয়াক্কা করা হয়নি।’’

সংগঠনের দাবি, কোনও কর্মীর বদলির প্রক্রিয়া তাঁর কাজের দফতর শুরু করে। তিনি যে বিভাগের কর্মী তার ওসির কাছ থেকে বদলির ফাইল যায় ডেপুটি ডিএল অ্যান্ড এলআরওর কাছে। পরে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের জেলার আধিকারিকের চূড়ান্ত নির্দেশের পরে কর্মীর বদলি করা হয়। দেবব্রতবাবু বলেন, ‘‘তিন কর্মীকে বদলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম ও প্রক্রিয়া কিছুই মানা হয়নি। রাতারাতি বদলি করা হয়েছে।” সংগঠনের অভিযোগ, দফতরে চলা দুর্নীতি বন্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন বলেই ওই তিন জনকে বদলি করা হচ্ছে। তবে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক এস অরুণ প্রসাদ বলেন, ‘‘দফতরে দুর্নীতি হচ্ছে এই মর্মে ওই কর্মী সংগঠন কোনও অভিযোগ জানায়নি। নিয়ম মেনেই কর্মীদের বদলি করা হয়েছে।”

Advertisement

এ দিন বেলার দিকে জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়ে দেখা যায়, দফতরের সমস্ত চেয়ার-টেবিল ফাঁকা। কর্মীরা অফিসের বাইরে। ওই সংগঠনের দাবি, মহকুমা ও জেলা ভূমি দফতরের আশি-পঁচাশি জন কর্মী আছেন। প্রায় সবাই তাঁদের সংগঠনের সদস্য। অন্য সংগঠনের সদস্যদেরও এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হতে অনুরোধ করা হয়েছিল।

ধুলুডি, পিঁড়রা গ্রাম থেকে জমির নক্সা আর পড়চা নিতে পুরুলিয়ার দফতরে এসেছিলেন লোকেশ্বর গোপ, সুবোধ মাহাতোরা। তাঁরা বলেন, ‘‘কাজ হল না। আসা যাওয়ার টাকাটা ফালতু গচ্ছা গেল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন