Touroist lodge

টুরিস্ট লজে যেতে নাকাল

পাঁচ মিনিটের সোজা পথ ছেড়ে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় প্রায় দেড়-দু’ ঘণ্টা চক্কর কাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ মেলার সময়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:০৬
Share:

বিষ্ণুপুর টুরিস্ট লজ। নিজস্ব চিত্র।

চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন টুরিস্ট লজ। কিন্তু ঢোকার উপায় নেই। পাঁচ মিনিটের সোজা পথ ছেড়ে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় প্রায় দেড়-দু’ ঘণ্টা চক্কর কাটতে হচ্ছে বলে অভিযোগ মেলার সময়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বেড়াতে আসা অনেক পর্যটকের। অভিযোগ উঠেছে পুলিশি হয়রানির। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণেশ বিশ্বাস জানান, সমস্যা মেটাতে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হচ্ছে। মেলার কাছের হোটেল-লজগুলির অতিথিদের গাড়ির নম্বর সেখানে দিয়ে দেওয়া হবে। মিলিয়ে দেখে প্রয়োজনমতো পথ ছেড়ে দেবে পুলিশ।

Advertisement

সাধারণত রবীন্দ্রস্ট্যাচু থেকে কলেজ রোড ধরে টুরিস্ট লজে পৌঁছনো যায়। লজের দু’টি গেট। দু’টিই কলেজ রোডের উপরে। মেলার জন্য এখন একটিই খোলা থাকছে। দুপুর আড়াইটে থেকে শুরু করে যতক্ষণ মেলা চলছে, কলেজ রোড দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। রবীন্দ্রস্ট্যাচু থেকে ব্লক অফিস যাওয়ার পথ ধরছেন পর্যটকেরা। পোড়ামাটির হাট হয়ে, ছোট লালবাঁধের সামনে দিয়ে গিয়ে কলেজ রোডের আর এক প্রান্তে পৌঁছচ্ছেন। বাঁ দিকে কিছুটা গেলেই টুরিস্ট লজের গেট। কিন্তু রাস্তায় ওঠার মুখে পুলিশ আটকে রাখছে বলে অভিযোগ।

কলকাতার দমদম থেকে সপরিবার বেড়াতে এসেছেন নির্মল চক্রবর্তী। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ টুরিস্ট লজে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান তিনি। নির্মলবাবু বলেন, ‘‘সোজা রাস্তার বদলে আড়াই-তিন কিলোমিটার ঘুরে আসতে বলল পুলিশ। সেখানেও ব্যারিকেড। অন্ধকার একটা রাস্তা ধরে লজের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলাম। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা থাকলেও যেতে দেয়নি। কাজ হয়নি লজের বুকিং-এর কাগজ দেখিয়েও। রাতের পরে ছেড়েছে।’’ কলকাতা থেকে আসা সুমন্ত সেনও বলেন, ‘‘ট্যুরিস্ট লজে উঠেছি। মেলার জন্য ঢোকার দু’টো গেটই কার্যত বন্ধ। ট্রাফিক নিয়ে রীতিমতো বাড়াবাড়ি চলছে। বেড়াতে এসে দুপুর আড়াইটের মধ্যে লজে ফিরে আসতে হচ্ছে।’’

Advertisement

বিষ্ণুপুর ট্যুরিস্ট লজের ম্যানেজার দীনেশ হালদারও সমস্যার কথা মেনে নিচ্ছেন। তিনি জানান, মেলার পাঁচ দিন প্রচুর পর্যটক আসেন বিষ্ণুপুরে। সন্ধ্যার পরে যাঁরা পৌঁছচ্ছেন, লজে ঢুকতে গিয়ে রীতিমতো হয়রান হতে হচ্ছে তাঁদের। দীনেশবাবু বলেন, ‘‘অন্য বছরগুলোয় পর্যটকদের গাড়িতে স্টিকার দেওয়া হত। দেখলে, পুলিশ ছেড়ে দিত। এ বার সেই ব্যবস্থাও নেই।’’

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গণেশ বিশ্বাস জানান, মেলা চত্বরের কাছাকাছি যে সব সরকারি বা বেসরকারি অতিথি আবাস রয়েছে সেগুলির কর্তৃপক্ষকে নিয়ে একটি হেয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হচ্ছে। নোডাল অফিসার করা হয়েছে ডিএসপি (ট্রাফিক) সন্দীপ মালকে। পর্যটকদের গাড়ির নম্বর আগে থেকে গ্রুপে দিয়ে দিতে হবে। বিবেচনা করে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে পুলিশ। তিনি বলেন, ‘‘পর্যটকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য বিভিন্ন রাস্তা আর মেলা প্রাঙ্গণ মিলিয়ে কয়েকশো সিভিক ভলান্টিয়ার ও প্রায় আড়াইশো কনস্টেবল রাখা হয়েছে।”

মহকুমাশাসক (বিষ্ণুপুর) তথা মেলা কমিটির সচিব অনুপকুমার দত্ত বলেন, “মেলার প্রথম দিনে শোভাযাত্রা ও উদ্বোধনের জন্য হয়তো

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন