ভেষজ উদ্যান তৈরির উদ্যোগ বিশ্বভারতীতে

সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে বিশ্বভারতীতে ‘যোগ কুঠি’ তৈরি হওয়ার জন্য। বিনয়ভবনের আমবাগানে গাছের তলায় তৈরি হবে আসন কুঠি, প্রাণায়াম কুঠি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০৪:০৩
Share:

নজর: বৃক্ষরোপণ। —নিজস্ব চিত্র।

বন-মহোৎসব কিংবা বৃক্ষরোপণ উৎসবে গাছ লাগানো নতুন বিষয় নয়। কিন্তু, সাধারণ বৃক্ষ রোপণের পাশাপাশি ভেষজ উদ্ভিদ রোপণের মাধ্যমে ‘ভেষজ উদ্যান’ গড়ে তুলতে চাইছে বিশ্বভারতী। এমনকি সাধারণ মানুষকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।

Advertisement

শনিবার বিশ্বভারতীর শিক্ষাসত্রের জীবনবিজ্ঞানের অধ্যাপক কৃষ্ণেন্দু দে, ঋতুপর্ণা চার এবং গৌতম সাহার উদ্যোগে শিক্ষাসত্র প্রাঙ্গণে চারটি ভেষজ উদ্ভিদ লাগানো হয়। স্কুলের পড়ুয়ারাই ওই গাছ লাগায়। ইনসুলিন প্ল্যান্ট, বকফুলের গাছ, লেবু গাছ এবং অপরাজিতা গাছের বিভিন্ন ভেষজ গুণ রয়েছে। এর মধ্যে ইনসুলিন প্ল্যান্টের বিশেষত্ব হল, এই গাছের পাতা থেকে যে রস বের হয় তা ইনসুলিনের কাজ করে। অধ্যাপক কৃষ্ণেন্দু দে জানান, এই গাছের চারা তিনি আন্দামান থেকে নিয়ে এসেছিলেন। বাড়িতে লাগানোর পরে সেখান থেকে নতুন যে চারা গাছ হয়েছে, সেই গাছই শিক্ষাসত্র প্রাঙ্গণে লাগানো হল। উদ্যোক্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ জয়ন্ত ভট্টাচার্যের সহযোগিতায় এই উদ্যোগকে সফল করার প্রয়াস চলছে।

শিক্ষাসত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি ভেষজ উদ্যান তৈরির পরিকল্পনা করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় কাঠা জমিতে ১২টি প্লট ভাগ করা হয়েছে। এক একটি প্লটে বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদের গাছ লাগানো হবে। তার সঙ্গে সেগুলির বিজ্ঞানসম্মত নাম, ভেষজ উপকারিতা এবং চারা কোন জায়গা থেকে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে লেখা থাকবে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা যেমন উপকৃত হবে, তেমনই সাধারণ মানুষও ভেষজ উদ্ভিদের গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

Advertisement

সম্প্রতি কেন্দ্র থেকে পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদিত হয়েছে বিশ্বভারতীতে ‘যোগ কুঠি’ তৈরি হওয়ার জন্য। বিনয়ভবনের আমবাগানে গাছের তলায় তৈরি হবে আসন কুঠি, প্রাণায়াম কুঠি। পরে এই যোগ কুঠির সামনেই একটি ‘ভেষজ উদ্যান’ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বিশ্বভারতীর। ভেষজ উদ্যান হলে একদিকে যেমন পড়ুয়ারা ভেষজ উদ্ভিদগুলি চোখের সামনে দেখে গাছগুলির উপকারিতা জানতে পারবে, অন্য দিকে চিকিৎসার
ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যাবে সেগুলিকে। ভবিষ্যতে পর্যটকদের কাছেও ‘ভেষজ উদ্যান’ দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।

যোগিক আর্ট অ্যান্ড সায়েন্স বিভাগের প্রধান সমীরণ মণ্ডল জানালেন, সবটাই পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। বাস্তবায়িত করার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement