এল আরও সাতটি হাতি

এই পরিস্থিতিতে চাপ আরও বেড়েছে বন দফতরের। দলটি লোকালয়ে ঢুকে যাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে, সে দিকে নজর রাখছেন ঝালদার বন কর্মীরা। চেষ্টা চলছে হাতিগুলিকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর। সম্প্রতি ঝালদা বনাঞ্চল থেকে লাগোয়া বাঘমুণ্ডি এলাকায় ঢুকেছিল কিছু হাতি। সেগুলি এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বাঘমুণ্ডির কালিমাটি বিটের বাঁধডি পাহাড় এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:২৬
Share:

তছনছ: হাতির পায়ের চাপে ভেঙেছে আল। ঝালদার পুস্তি এলাকায়। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়খণ্ড থেকে সুবর্ণরেখা পেরিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ঝালদার ফুলটুংরি পাহাড়ের জঙ্গলে ঢুকেছিল তিনটি হাতি। শুক্রবার গভীর রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে আরও সাতটি হাতি এসে ভিড়েছে তাদের সঙ্গে। আসার পথে ঝালদা বনাঞ্চলের পুস্তি, কাঁটাডি, ভুসুডি-সহ আরও বেশ কয়েকটি গ্রামের পাশে আমন ধানের খেতে হানা দিয়েছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতিগুলি তছনছ করেছে প্রায় তিন হেক্টর জমির ফসল।
এই পরিস্থিতিতে চাপ আরও বেড়েছে বন দফতরের। দলটি লোকালয়ে ঢুকে যাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি করতে না পারে, সে দিকে নজর রাখছেন ঝালদার বন কর্মীরা। চেষ্টা চলছে হাতিগুলিকে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর। সম্প্রতি ঝালদা বনাঞ্চল থেকে লাগোয়া বাঘমুণ্ডি এলাকায় ঢুকেছিল কিছু হাতি। সেগুলি এখনও ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বাঘমুণ্ডির কালিমাটি বিটের বাঁধডি পাহাড় এলাকায়। ঝাড়খণ্ডে ফেরানো না গেলেও বাঘমুণ্ডিতে থাকা হাতিগুলি শুক্রবার কোনও ক্ষয়ক্ষতি করেনি বলেই বন দফতর সূত্রে খবর।
তবে সম্প্রতি বান্দোয়ানের জঙ্গল দিয়ে জেলায় ঢুকে বিভিন্ন এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছিল যে ১৩টি হাতি, তাদের শনিবার ভোরে ঝাড়খণ্ডে ফেরত পাঠানো গিয়েছে বলে দাবি বন দফতরের। ডিএফও (পুরুলিয়া দক্ষিণ) অর্ণব সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে বান্দোয়ানের কুচিয়া এলাকা থেকে দলটিকে তাড়া করতে শুরু করেন বনকর্মীরা। এক কর্মীর কথায়, ‘‘রাত ২টোর সময়ে দলটি বান্দোয়ানের নান্নার কাছে গিয়ে থমকে গিয়েছিল। সেখান থেকে বেশ কিছুক্ষণ নড়ানো যাচ্ছিলো না। তবে ভোরে ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে ঢুকে যায়।’’ সীমানা বরাবর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিএফও।
বুধবার ওই দলের একটি দাঁতালের পায়ে পিষ্ট হয়ে বলরামপুরে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। তিনটি শাবক থাকায় হাতির দলটিকে ফেরাতে তাড়াহুড়ো করতে পারছিল না বন দফতর। অবশেষে তারা জেলা ছাড়ায় স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন