নিয়ে আসা হয়েছে রোগীদের। —নিজস্ব চিত্র।
সোমবার মহকুমা শহর রঘুনাথপুরে শুরু হল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের পরিষেবা। রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতাল চত্বর ঘেঁষেই গড়ে তোলা হয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল। তাই স্বাস্থ্য দফতর দু’টি হাসপাতালকে এক সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দফতর মনে করছে, দুটি হাসপাতাল একসঙ্গে মিশে গেলে রোগীদের ভাল পরিষেবা দেওয়া যাবে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরে ২০১৪ সালের মে নাগাদ এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কেন্দ্রের ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড (বিআরজিএফ)-এর ৫৯ কোটি ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৭৬১ টাকা ব্যয়ে এই হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। কাজ শেষের সময়সীমা ছিল ১৫ মাস। কিন্তু কাজ শেষ হতে আরও কিছুটা বেশি সময় লাগে। গত বছরই এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ চালু হয়েছে। স্বাস্থ্য ভবন থেকে নির্দেশ এলেও হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ চালু করা যাচ্ছিল না কেন, তা সরজমিন দেখতে কয়েক দিন আগে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথি রঘুনাথপুরে আসেন। তিনি জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে দ্রুত এই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ চালু করার নির্দেশ দিয়ে যান।
সোমবার চালু হলেও ওই হাসপাতালের কয়েকটি বিভাগে এক জনের বেশি চিকিৎসক নেই বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। ২০ জন মেডিক্যাল অফিসার ছাড়াও স্ত্রীরোগ বিভাগ, মেডিসিন বিভাগ, চক্ষু বিভাগ অ্যানাস্থেসিয়ার দু’জন করে চিকিৎসক রয়েছেন। শল্য ও অস্থি বিভাগে রয়েছেন মাত্র এক জন করে চিকিৎসক। এই পরিকাঠামো নিয়ে কী ভাবে সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল চালানো সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অনিল দত্ত বলেন, ‘‘ধাপে ধাপে হাসপাতালের সমস্ত বিভাগই ঢেলে সাজানো হবে।’’