—নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল বীরভূমের বোলপুরে। দলের বহু দিনের কর্মী তনুব্রত ঘোষ নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠল বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা বাবু দাসের বিরুদ্ধে। পরে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ।
তালতোর গ্রামের বাসিন্দা তনুব্রত বোলপুরের প্রান্তিক এলাকায় একটি দোকান খুলেছেন সম্প্রতি। বৃহস্পতিবার ওই দোকানে টিন লাগানোর কাজ চলছিল। সেই সময়ই বাবু তাঁর দলবল নিয়ে এসে তাঁকে মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ তনুব্রতের। এলাকাবাসীদের দাবি, এর পরই স্থানীয় কিছু তৃণমূল কর্মী রুখে দাঁড়ালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।
বোলপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে তালতোর ও প্রান্তিকের এলাকা। ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বে বাবু, যিনি শ্রীনিকেতন এলাকার বাসিন্দা। আসন্ন পুরভোটে ওই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূলের হয়ে যাঁরা লড়তে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে, সেই তালিকায় বাবুর স্ত্রী-ও রয়েছে বলে দাবি দলীয় সূত্রে।
দুই শিবিরের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ পেয়েই শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আটক করা হয়েছে তৃণমূল নেতা হৃদয় বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বীরভূমে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে একের পর এক বিজেপি নেতা যখন তৃণমূলের যোগ দিচ্ছেন, সেই সময় অন্দরে এই গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব জোড়াফুল শিবিরকে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।