TMC

প্রকাশ্যে মুখ খোলায় ফের অস্বস্তি তৃণমূলে

বুথ সভাপতিকে বার করে দেওয়ার নালিশঅনুব্রতের প্রশ্নের মুখে ক্ষোভ উগরে দেন মারকোলা বুথের সভাপতি শান্ত মণ্ডল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২০ ০০:৫২
Share:

উত্তপ্ত: তৃণমূলের কর্মিসভার বাইরে বচসা। নিজস্ব চিত্র।

প্রকাশ্যে মুখ খোলায় এ বার দলেরই এক বুথ সভাপতিকে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলন থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সাঁইথিয়ায়। দলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উপস্থিতিতেই এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। দলীয় নেতৃত্ব ওই ঘটনার কথা মানতে চাননি। ওই বুথ সভাপতিও ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সাঁইথিয়া হাইস্কুলে তৃণমূলের বনগ্রাম, হাতোড়া এবং মাঠপলশা পঞ্চায়েতের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন ছিল। অনুব্রত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অসিত মাল, সাঁইথিয়া পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব দত্ত, জেলা সম্পাদক দেবাশিস সাহা প্রমুখ। বুধবার ওই স্কুলেই সাঁইথিয়ার অন্য ৩টি পঞ্চায়েতের কর্মী সম্মেলন ছিল। সেখানে এক বুথ কমিটির সদস্যের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

বিরোধীদের দাবি, বারবার কর্মী সম্মেলনে দল নিচুতলার নেতাদের অস্বস্তিকর প্রশ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে অনুব্রত-সহ জেলা নেতৃত্বকে। সে কারণেই কখনও মাইক্রোফোন কেড়ে নিতে হচ্ছে, কখনও বা বুথ সভাপতিকে বারই করে দিতে হচ্ছে!

Advertisement

এ দিন সভার শুরুতেই জানিয়ে দেওয়া হয়, কারও কিছু বলার থাকলে তা লিখিত ভাবে জানাতে হবে। তবে অনুব্রতের প্রশ্নের মুখে ক্ষোভ উগরে দেন মারকোলা বুথের সভাপতি শান্ত মণ্ডল।

অনুব্রত তাঁর কাছে গত লোকসভা ভোটে ওই বুথে বিজেপি-র চেয়ে পিছিয়ে থাকার কারণ জানতে চাইলে শান্ত বলেন, ‘‘সংগঠনের নেতাদের ভুলেই এটা হয়েছে। ব্লক সভাপতি কখনও তুষারকান্তি মণ্ডল (বনগ্রামের প্রধান) কখনও টমদার (প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়) সঙ্গে থাকেন। তার ফলে ভুল বার্তা যায়। অঞ্চল সভাপতি কুবীর মণ্ডল মিটিং ডাকেন না।’’

ওই কথা শোনার পরেই কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে। অনুব্রতকে বলতে শোনা যায়, ‘‘বারণ করা সত্ত্বেও আপনি কেন প্রকাশ্যে বলতে গেলেন? জানেন না মিডিয়া রয়েছে?’’ তার পরেই শান্তকে জোর করে সম্মেলন থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সাবের আলি খানের ভাইপো মিন্টু খানের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার পরে সভাস্থলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তুষার মণ্ডল চিৎকার করে ওঠেন, ‘‘কেন এক জন কর্মীকে এ ভাবে হেনস্থা করা হবে?’’

পরে অবশ্য দলীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তুষার মণ্ডল এবং শান্ত মণ্ডল দু’জনেই বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে যা বলার দাদাকে (অনুব্রত) বলব।’’ সাবের আলির দাবি, ‘‘ওই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ঘটে থাকলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’ অনুব্রতও বলেন, ‘‘ওই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন