আপনি এমন ঝোল খান? প্রশ্ন এসডিওর

আগামী দিনে ফের যাতে এমনটা যেন না হয়, সতর্ক করে দিয়েছি।’’ এর পরেই তিনি পৌঁছে যান সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে। তখন রোগীদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল। সেখানেও বেশ কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

রামপুরহাট  শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৭:৪০
Share:

এই খাবারের মান নিয়েই বিতর্ক রামপুরহাটে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

তিন দিন আগে হাসপাতালের রান্না দেখতে হঠাৎ পৌঁছে গিয়েছিলেন খোদ সুপার। ফ্রিজারে রোগীদের ভাজা মাছে ছত্রাক দেখে রান্নার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারকে শোকজ করেন। তার পরেও পরিস্থিতির যে এতটুকু বদল হয়নি তা পরিস্কার হয়ে গেল ওই রান্নাঘরেই মহকুমাশাসক সম্রুতিরঞ্জন মহান্তির হঠাৎ পরিদর্শনে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হাসপাতালে পৌঁছন মহকুমাশাসক। তিনিও হাসপাতালের ফ্রিজার খোলেন। মহকুমাশাসকের কথায়, ‘‘সেখানে বাসি সব্জি ছিল বলেই মনে হয়েছে। তা দেখেই ফেলে দিতে বলেছি। আগামী দিনে ফের যাতে এমনটা যেন না হয়, সতর্ক করে দিয়েছি।’’ এর পরেই তিনি পৌঁছে যান সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের ওয়ার্ডে। তখন রোগীদের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছিল। সেখানেও বেশ কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে।
যেমন— ডায়েট চার্টে ডিমের সঙ্গে একশো গ্রাম করে ঝোল দেওয়ার কথা। মহকুমাশাসকের নজরে আসে, শুধু সিদ্ধ ডিম আর জলের মতো ঝোল দেওয়া হচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে ঠিকাদারের কাছে জানতে চান, ‘‘আপনি কি এই ঝোল বাড়িতে খান?’’
ঠিকাদার রামকৃষ্ণ সাহা নিজের ভুল স্বীকার করে নেন।
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য আলাদা করে কেন খাবার তৈরি করা হয় না সেটাও জানতে চান মহকুমাশাসক। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশ্বাস, টেন্ডার সংক্রান্ত জটিলতাতেই তা হয়ে ওঠেনি। দ্রুত সে ব্যাবস্থা চালুর চেষ্ট চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন