বিচারকদের সঙ্গে পরিদর্শনে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। নিজস্ব চিত্র।
মানবাজারকে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে মহকুমা ঘোষণা করা না হলেও, সে ব্যাপারে সদিচ্ছার কথা আগেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তাই মানবাজারে এসে আদালত, বিচারকদের আবাসন, সংশোধনাগার প্রভৃতির জন্য জমি পরিদর্শন করে গেলেন বিচারক ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
মানবাজারকে মহকুমার স্বীকৃতি দেওয়া দেরি নেই বলেই আশাবাদী জেলা প্রশাসনের অনেকেই। তবে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করতে নারাজ প্রশাসনিক কর্তারা। কিন্তু মহকুমা ঘোষণা হওয়ার পরে যে যে পরিকাঠামোর দরকার, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার জেলার বিচারকদের মানবাজারে আদালত এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জায়গা পরিদর্শনে আশায় বুক বেঁধেছেন বাসিন্দারা।
জেলার এক শীর্ষ কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘হঠাৎ ঘোষণা হয়ে গেলে যাতে মহকুমা অফিস চালু করতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে জন্য বেশ কিছুদিন ধরে আমরা জায়গা দেখে রাখছিলাম। মহকুমার বিভিন্ন অফিস কোথায় হতে পারে, এ নিয়ে জেলা থেকে বিভিন্ন দফতরের কর্তারা দফায় দফায় এসেছেন। মাস দুয়েক আগে দমকলের শীর্ষ কর্তারাও এসে দমকল কেন্দ্রের জায়গা বাছাই করে গিয়েছেন।’’
বৃহস্পতিবার জেলা ও দায়রা বিচারক নরেন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে লীলাময় মণ্ডল ও কুমকুম চট্টোপাধ্যায়-সহ তিন বিচারকের দল মানবাজার ১ ব্লক অফিস লাগোয়া কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেন। তাঁরা প্রথমে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের পুরনো ভবন, কিছুটা দূরে কমিউনিটি হল মালঞ্চ ভবন, পঞ্চায়েত সমিতি নির্মিত একটি ভবন পরিদর্শন করেন।
ওই দলের সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত বছরখানেক কাজ চালানোর জন্য এই সব ভবন দেখা হচ্ছে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মানবাজার ১ বীজ খামারের চত্বরে প্রয়োজনীয় জায়গা রয়েছে। আশা করছি ঘোষণা হলে, দু’বছরের মধ্যে মহকুমা অফিসের সমস্ত ভবন নির্মাণ হয়ে যাবে।’’ পরিদর্শক দলের সঙ্গে মহকুমাশাসক (পুরুলিয়ার সদর) সন্দীপ টুডু, মানবাজার (১) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মাহাতো-সহ ব্লক প্রশাসনের বিভিন্ন পদাধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।