বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। — নিজস্ব চিত্র।
মঞ্চে কে এল, কে গেল, তাতে তার কিছু যায় আসে না। বৃহস্পতিবার নানুরে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমনটাই বললেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এ ভাবে কি নাম না-করে কাউকে ইঙ্গিত করতে চাইলেন? উঠছে সে প্রশ্ন। কেউ কেউ মনে করছেন, নাম না-করে বীরভূমের জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেই কটাক্ষ করেছেন কাজল। দিন কয়েক আগে একটি বিজয়া সম্মিলনীতে বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পরে কাজলের এই মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ব্লকে ব্লকে চলছে বিজয়া সম্মিলনী। বৃহস্পতিবার নানুর বিধানসভার নানুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া সম্মিলনীর। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল, বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মাল, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি-সহ জেলার অন্য নেতাকর্মীরা। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল কাকে ইঙ্গিত করে খোঁচা দিলেন এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। কাজল বলেন, “এটা নানুর। নানুরের মানুষ লড়াই করতে জানেন। রক্ত দিতে জানেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে তাঁরা রয়েছেন। কে মঞ্চে এল, কে এল না, তা দিয়ে কিছু যায় আসে না। আমরা লড়াই করেছি। রক্ত দিয়েছি।’’
অনুব্রতের গ্রেফতারির পর কোর কমিটি গঠন করা হয়। কোর কমিটির বৈঠক ঘিরে বার বার কেষ্ট-কাজলের দ্বন্দ্বের চিত্র প্রকাশ্যে আসে। কখনও বৈঠকে যোগদান না-করে পরস্পরকে এড়িয়ে গিয়ে, আবার কখনও বৈঠক শেষে পরস্পরের নাম ঊহ্য রেখে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বির্তক তৈরি করে দলের অস্বস্তি বৃদ্ধি করেছেন তাঁরা। এ বার নানুরে অনুব্রতকেই কটাক্ষ করলেন কাজল, রয়েছে প্রশ্ন।
বিজয়া সম্মিলনীতে কাজল আরও জানিয়েছেন, এটা কোনও প্রচার নয়। প্রচারের প্রয়োজন তাঁদের পড়ে না। কারণ ৩৬৫ দিন তাঁরা মানুষের পাশে থেকে কাজ করেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নানুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থীর জয়ের বিষয়েও নিশ্চিত তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘২০২৬ সালে যিনি নানুর কেন্দ্র যেকে বিধায়ক হবেন, তিনি এক লক্ষ ১৮ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতার ঝাণ্ডা যেখানে, সারা বাংলার মানুষ সেখানে। তার জন্য কোনও নেতা-নেত্রীর দরকার নেই।’’