আলিমুদ্দিনে যখন জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্য কমিটির বৈঠকে জোর বিতর্ক চলছে, ঠিক সেই সময়েই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রক্তদান শিবির করলেন একেবারে নিচু তলার সিপিএম ও কংগ্রেসের কর্মীরা। রবিবার বোয়ালিয়া সরোজিনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওই শিবিরে রক্ত দিলেন দুই দলের ৪০ জন কর্মী। ভোটের পরে তৃণমূলের হামলার হাত থেকে বাঁচতে দুই দলের স্থানীয় নেতারা বসে বোয়ালিয়াতে ২১ জনের একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই থেকেই নানা বিষয়ে উভয় দলেরই কর্মীরা পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এ বার সেই পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে এই শিবিরের আয়োজন।
এই রক্তদান শিবিরের অন্যতম উদ্যোক্তা সিপিএমের দলীয় সদস্য বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘আমরা যাঁরা একেবারে নিচু স্তরে দলটা করি তাঁরা যদি একসঙ্গে লড়াই করতে না পারি তাহলে নির্বাচনে জয়ী হওয়া তো দূরের কথা, এলাকাতেই টিকতে পারব না। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে যৌথ ভাবে লড়াইটা করতেই হবে।’’
রবিবার শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের জেলা কমিটির সভাপতি অসীম সাহা। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের অত্যাচার থেকে বাঁচতে দুই দলের নিচু তলার কর্মীরা জোট বেঁধেছেন। মানুষের সেই জোটে সাড়া না দিয়ে উপায় কী!’’ নবদ্বীপ জোনাল কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘‘দলের কর্মীরা তৃণমূলের আক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজেদের মতো করে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধেছেন। তাকে আমরা অস্বীকার করি কী করে?’’
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এস এম সাদি বলেন, ‘‘আমরা আগেও বলেছি যেখানে তৃণমূলের সন্ত্রাস হবে, হামলা হবে, গণতন্ত্র বিপন্ন হবে, সেখানেই আমরা সর্বস্তরের মানুষকে একত্রিত করে লড়াই করব। ওখানেও সেটাই হয়েছে। মানুষের প্রয়োজনেই সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রক্তদান শিবির করেছেন।’’