‘নকুলদানা’ নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে মনে করেন অনুব্রত মণ্ডল।
দিন চারেক আগে ইলামবাজারের হাঁসড়ার এক নির্বাচনী জনসভার শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘তিরুপতি, বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে নকুলদানাই প্রসাদ। পাথরচাপুড়িতেও তাই। এর অনেক গুণ। সব ভোটের পরে বলব।’’
ইতিমধ্যেই বহুচর্চিত ‘নকুলদানা’ প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক মহলে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছে। নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গড়িয়েছে সেই জল। ‘নকুলদানা’ নিয়ে কমিশনকে পাঠানো শো-কজের উত্তরে সেই ‘প্রসাদ’ তত্ত্বকেই ঢাল করলেন অনুব্রত। কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে ভোটার সকলেই নকুলদানা খাওয়াতে চান অনুব্রত। জল-বাতাসা, গুড়-বাতাসা, পাঁচনের পর অনুব্রতের নতুন দাওয়াই নকুলদানা।
বিরোধীরা এই ‘নকুলদানা’রই ব্যাখ্যা করেছিলেন নকুল-দানা, রূপকধর্মী ‘দানা’ আদতে পথে সন্ত্রাস ছড়ানোর ইঙ্গিত বলে। দানার আরেক অর্থ বুলেট বলেও ব্যাখ্যা করেছেন কেউ কেউ। অনুব্রতের এই ‘নকুলদানা’ খাওয়ানো নিয়ে তাই কিছুদিন আগেই কমিশনে নালিশ জানিয়েছিল বিরোধীরা। কমিশন যে বিষয়টি সহজভাবে নেয়নি তার জবাব মিলেছে শো-কজের নোটিসেই।
ইলামবাজারে সেদিনের সভায় ‘নকুলদানা’ নিয়ে বক্তব্য রাখার কারণেই যে নির্বাচন কমিশনের নোটিস তিনি হাতে পেয়েছেন সে কথা জানিয়েছেন অনুব্রত।
কিন্তু কমিশনকে পাঠানো শো-কজের উত্তর অবশ্য প্রসাদ তত্ত্বেই আটকে থেকেছে। অনুব্রত ঠিক কী জবাব দিয়েছেন সে বিষয়ে উচ্চবাচ্য না করলেও দলের অন্দরের খবর, জবাবি চিঠিতে অনুব্রত জানিয়েছেন, তিনি কমিশনকে সম্মান করেন। নকুলদানা প্রসাদ খাওয়ানোর কথাই বলেছেন। যে নকুলদানা প্রসাদ বৈষ্ণোদেবী, তিরুপতি আজমেঢ় শরিফ থেকে পাথরচাপুড়ি সব ধর্মীয় স্থানেই প্রসাদ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এর ভিন্ন কোনও অর্থ নেই। শো-কজের জবাবে কমিশন সন্তুষ্ট হয় কী না সেটাই এখন দেখার।