প্রতীকী চিত্র।
সন্ধ্যা নামলেই উদ্বেগ বাড়ে পরিবারের। শেষ বাসটা পেয়েছে তো ঘরের মানুষটা? মানবাজার তো বটেই, দক্ষিণ পুরুলিয়ার একটা বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের পুরুলিয়া থেকে ঘরে ফেরা নিয়ে এমনই দুর্ভাবনায় দিন কাটছে। কারণ পুরুলিয়া জেলার অন্যত্র রেল যোগাযোগ থাকলেও এখানে বাসই ভরসা। অথচ একের পর এক ভোট পার হয়ে গেলেও দক্ষিণ পুরুলিয়াকে রেলের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি উপেক্ষিতই থেকে গিয়েছে। এ বার ভোট-পর্বে মানবাজার বিধানসভা ঘুরে সেই ক্ষোভের আঁচ পাওয়া গিয়েছে।
মানবাজারের নামোপাড়ার বাসিন্দা শঙ্খনিনাদ বন্দোপাধ্যায় পুরুলিয়ার জেলা শিল্পকেন্দ্রের কর্মী। প্রতিদিন তিনি বাসে বাড়ি থেকে পুরুলিয়ায় যাতায়াত করেন। তাঁর কথায়, ‘‘পুরুলিয়া থেকে মানবাজারের দুরত্ব ৫৪ কিলোমিটার। রোজ বাইকে চড়ে এতটা রাস্তা আসা-যাওয়া করা যায় না। বেসরকারি বাসই আমাদের ভরসা। শেষ বাস পৌনে ছ’টায় টায়। অফিস থেকে ফেরার সময় রোজই চিন্তায় থাকি— শেষ বাস বেরিয়ে গেল না তো? রেল যোগাযোগ থাকলে বাড়ি ফেরার উদ্বেগ কমত।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
মানবাজার ১ ও পুঞ্চা ব্লক এবং আংশিক ভাবে হুড়া ব্লক নিয়ে এই বিধানসভা। লোকসভা থেকে বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূলই এগিয়ে ছিল। পঞ্চায়েত ভোটেও এই বিধানসভা কেন্দ্রের ২৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে তৃণমূল ১৯টি পঞ্চায়েত দখলে রেখেছে। মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দিলীপ পাত্র থেকে পুঞ্চার ব্লক সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মাহাতোরা দাবি করছেন, ‘‘তৃণমূল রেলমন্ত্রীত্ব পাওয়ার পরেই পুরুলিয়া প্রচুর ট্রেন পেয়েছে। তৃণমূলকে কেন্দ্রে নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই রেলের দাবি পূরণ হবে।’’ বিজেপির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ মাঝি দাবি করেছেন, ‘‘কেন্দ্রে মোদী সরকারই আসছে। তাই এখান থেকে বিজেপির সাংসদ হলেই দাবি পূরণ সম্ভব।’’