আগামী ৩ এপ্রিলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে দলের নেতাকর্মী, সমর্থকদের যাতে বাধা পেতে না হয়, তার জন্য আগাম কমিশনের দ্বারস্থ হবে বিজেপি। ওই সমাবেশ বক্তব্য রাখবেন নরেন্দ্র মোদী। সে কথা মাথায় রেখেই রবিবার থেকে জেলায় জেলায় প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি। বীরভূম থেকে কী ভাবে, কত সংখ্যক কর্মী-সমর্থককে নিয়ে যেতে হবে, রবিবার সিউড়ির জেলা পরিষদ হলে কর্মকর্তাদের সঙ্গে তা নিয়ে বিস্তৃত অলোচনা করেন রাজ্য সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘কলকাতায় কেন্দ্রীয় নেতা মুকুল রায় জানিয়েছেন, আগামী ৩ এপ্রিল দুটি জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একটা হবে শিলিগুড়িতে। সময় বেলা একটা। অন্যটি হবে বিকেল সাড়ে তিনটেয়, ব্রিগেড প্যারাড গ্রাউন্ডে। মুর্শিদাবাদ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণা পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে ব্রিগেডে সভা করবে বিজেপি। বীরভূম থেকেই লক্ষাধিক মানুষ এই ব্রিগেডে যাবেন। যাতে তাঁরা ঠিক ভাবে ব্রিগেডে যেতে পারেন, তাই নিয়েই আলোচনা হয়েছে।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিটি দফার আগে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের দিয়ে একাধিক সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছে দল। মোদী, অমিত শাহ এবং যোগী আদিত্যনাথ— এই তিন জনই এ বারের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ‘হেভিওয়েট’ প্রচারক। বিজেপি সূত্রের দাবি, মোদী এবং শাহ প্রত্যেক দফার ভোটগ্রহণের আগে একটি করে সভা করবেন রাজ্যের নানা প্রান্তে। মোট সাত দফার হিসেব ধরলে, দু’জনেই সাতটি করে সভা করবেন বাংলায়। বেশ কয়েকটি সভা করবেন যোগী আদিত্যনাথও।
নরেন্দ্র মোদীর প্রস্তাবিত জনসভার মধ্যেই রয়েছে শিলিগুড়ি ও কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কিন্তু বীরভূম থেকে কী ভাবে যাবেন এত নেতাকর্মী? প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘মূলত ট্রেন ও বাসে করেই যাবেন।’’ প্রশ্ন ছিল শাসকদলের চাপে বাস যদি না পাওয়া যায়। তা হলে কী পদক্ষেপ। প্রতাপবাবু বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে সভাগুলো যাতে ঠিক ভাবে হয়, শাসকদল ও তাদের বাহিনী যাতে বাধা তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে আমরা আগাম নির্বাচন কমিশনকে জানাবো। প্রয়োজনে দিল্লিতেও যাব।’’ জেলা বিজেপি জানাচ্ছে, বাস পাওয়ার চেষ্টা হবে। বাধা এলে কমিশনে যাওয়ার পাশাপাশি মূলত ট্রেন ও ছোট গাড়ির উপরেই ভরসা করা হবে।