এলেন সুব্রত, মাঠে অন্যেরা

এ দিন বিকেলে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় বাঁকুড়ায় সস্ত্রীক ঢোকেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রথমে তিনি বাঁকুড়ার সতীঘাটে দলের জেলা অফিসে যান। জেলা নেতৃত্ব তাঁকে অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেক আলোচনা করেন সুব্রতবাবু। জেলায় দলের হালহকিকত নিয়ে খবর নেন ২০০৯ সালের তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যাওয়া কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রতবাবু। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৯ ০৬:০৫
Share:

বাঁকুড়া শহরে দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র

ভোটের এখনও মাস দুয়েক বাকি। কিন্তু, লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে এখনই। নাম ঘোষণার পরে প্রথম রবিবার তাই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়লেন পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।

Advertisement

এ দিন বিকেলে ঝড়-বৃষ্টি মাথায় বাঁকুড়ায় সস্ত্রীক ঢোকেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। প্রথমে তিনি বাঁকুড়ার সতীঘাটে দলের জেলা অফিসে যান। জেলা নেতৃত্ব তাঁকে অফিসে নিয়ে যান। সেখানে ঘণ্টাখানেক আলোচনা করেন সুব্রতবাবু। জেলায় দলের হালহকিকত নিয়ে খবর নেন ২০০৯ সালের তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যাওয়া কংগ্রেস প্রার্থী সুব্রতবাবু।

বাঁকুড়ার পুরপ্রধান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘দাদা এই জেলার নাড়িনক্ষত্র চেনেন। প্রতিটি ব্লক ধরে ধরে খোঁজ নিয়েছেন। তিনি জেলার নিজের লোক।’’ সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘বাঁকুড়ায় এসে মনে হল যেন নিজের বাড়িতেই ফিরেছি। সোমবার থেকেই প্রচারে নামব।’’

Advertisement

বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সুনীল খাঁ এ দিন সোনামুখী ও বড়জোড়ার মালিয়াড়ায় মিছিল করেন। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুজয় চৌধুরী দাবি করেন, ‘‘দাদাকে ফিরে পেয়ে মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছেন। ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’ ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা এ দিন বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন। পরে প্রচারও সারেন।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতো এ দিন সকালে তাঁর বাড়ির কাছে পুরুলিয়া ২ ব্লকের রাঘবপুর গ্রামে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দাবি করেন, সাংসদ হিসাবে গত পাঁচ বছরে সমস্ত টাকাই তিনি খরচ করেছেন। রাস্তায় দলের কর্মীদের দেওয়াল লিখতে দেখে উৎসাহ দিতে নিজেও রঙের তুলি ধরেন। তার আগে গ্রামের রঘুবর মন্দিরে পুজোও দেন।

ফব প্রার্থী বীরসিংহ মাহাতো শনিবার থেকেই প্রচারে নামেন। সুইসা নেতাজি সুভাষ আশ্রম থেকে প্রচার শুরু করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘প্রতিবার এই আশ্রম থেকে প্রচারে নেমে জিতেছি।’’ ওই আশ্রমেই সমাহিত করা হয়েছে ফব-র দীর্ঘদিনের রাজ্য সম্পাদক অশোক ঘোষের দেহ। অশোকবাবুর আবক্ষ মূর্তিতে মালা দিয়ে কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন তিনি। রবিবার অবশ্য তিনি কলকাতায় রওনা দেন। জানিয়ে যান, ফিরে প্রাক্তন জেলা সিপিএম সম্পাদক নকুল মাহাতোর কর্মভূমি পুঞ্চা-মানবাজার থেকে পুরোদমে প্রচারে নামবেন।

দলের অন্য নেতা-কর্মীরাও অনেকেই নিজেদের এলাকায় প্রচারে নেমে পড়েছেন। যেমন, এ দিন নিজের এলাকা পুঞ্চার জয়কাল্লা গ্রামে তৃণমূলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রার্থীর নামে দেওয়ালও লেখেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন