চার নাবালিকাকে ধর্ষণে যাবজ্জীবন

চকোলেট, বিস্কুট খাওয়ানোর নাম করে চার নাবালিকাকে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক মুদির দোকানদারের বিরুদ্ধে। পাঁচ বছর আগের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা রবিলোচন দে-র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা হল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৮ ০১:০৯
Share:

রবিলোচন দে। নিজস্ব চিত্র

চকোলেট, বিস্কুট খাওয়ানোর নাম করে চার নাবালিকাকে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এক মুদির দোকানদারের বিরুদ্ধে। পাঁচ বছর আগের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা রবিলোচন দে-র যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা হল। সোমবার এই সাজা ঘোষণা করেন বাঁকুড়া জেলা দায়রা বিচারক (১) মনোজ্যোতি ভট্টাচার্য।

Advertisement

সরকার পক্ষের আইনজীবী অতনু দে জানান, ঘটনাটি ২০১৩ সালের ৩ জানুয়ারির। চার নির্যাতিতার বয়স সেই সময়ে ছিল ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে। ওই দিন বিকেলে তারা খেলতে যাচ্ছিল। সেই সময়ে রবিলোচন নিজের বাড়ি সংলগ্ন দোকানে ডেকে নিয়ে যায়। নির্যাতনের পরে সেই কথা যাতে কাউকে না বলে, তার জন্য ভয়ও দেখায় সে।

পরের দিন সন্ধ্যায় এক নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তার মায়ের সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসা করতে ঘটনার কথা খুলে বলে সে। বাকি তিন নাবালিকাও একই কথা জানায়। ৫ জানুয়ারি এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। ক্ষুব্ধ পড়শিরা রবিলোচনের বাড়ি ঘেরাও করেন। ওই দিনই বেলিয়াতোড় থানায় রবিলোচনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

ওই বছরই ৩১ মার্চ পুলিশ আদালতে ঘটনার চার্জশিট জমা করে। গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই জেলেই ছিল রবিলোচন। সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালীন কয়েক মাস আগে একবার জামিনে মুক্ত হয়েছিল। অতনুবাবু বলেন, “অভিযুক্ত রবিলোচনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নগদ ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনে মামলা রুজু হয়নি। অতনুবাবু বলেন, ‘‘ঘটনার কয়েক মাস পরে পকসো আইন চালু হয়েছিল। তবে তত দিনে মামলাটির চার্জ গঠন হয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন