Suri

রাশ মমতার হাতেই, জেলা ভাঙার জল্পনা

এ দিন বীরভূম জেলাকে লোকসভা এলাকা ধরে দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করার কথা উঠেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

দয়াল সেনগুপ্ত  , অর্ঘ্য ঘোষ

সিউড়ি, ময়ূরেশ্বর শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৯:৫৩
Share:

বলপুরের সংগঠন মমতার হাতে। — ফাইল চিত্র।

বীরভূমে দলের সংগঠন যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দেখবেন তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। জেলবন্দি থাকলেও জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলই যে আপাতত জেলা সভাপতি পদে বহাল থাকছেন এ দিনের বৈঠকের পরে তাও স্পষ্ট।

Advertisement

শুক্রবার কলকাতার কালীঘাটে দলের বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমের সামনে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বীরভূম তো দিদি বলে দিয়েছেন নিজে দেখবেন।’’ এর পরে এ নিয়ে আর প্রশ্নের অবকাশ নেই বলেও জানিয়ে দেন চন্দ্রিমা। তবে এ দিন বীরভূম জেলাকে লোকসভা এলাকা ধরে দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করার কথা উঠেছে বলে সূত্রের খবর।

জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথম বীরভূম সফরে এসে জানুয়ারির শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন জেলায় দলের রাশ থাকবে তাঁর হাতেও। তিনি নতুন করে কোর কমিটি গড়ে দিলেও কিছু সমন্বয়ের অভাব সামনে আসছিল বলে তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন ছিল। বিশেষ করে, কোর কমিটিতে অনুব্রত বিরোধী বলে পরিচিত নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখের অন্তর্ভুক্তির পরে তাঁর ‘কার্যকলাপে’ কখনও কখনও দল অস্বস্তিতে পড়ছিল বলেও জেলায় দলের একাধিক জনপ্রতিনিধি একান্তে দাবি করেন। কাজল নিজে অবশ্য সে সব অভিযোগ মানেননি। এ দিনের বৈঠকে যাওয়া বীরভূমের নেতারা তেমন কোনও ক্ষোভের কথা তোলেন কি না তা নিয়েও জল্পনা ছিল।

Advertisement

জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে এ দিনের বৈঠকে অনুব্রতহীন বীরভূমের সাংগঠনিক দিক নিয়ে বেশ কিছু কথা হয়েছে। তবে প্রকাশ্যে সে সব নিয়ে কেউ বিশেষ কিছু বলতে চাননি। তবে যে টুকু জানা গিয়েছে, তা হল জেলাকে লোকসভা এলাকা ধরে দুটি সাংগঠনিক জেলায় ভাগ করার কথা উঠেছে। সেই দুই জেলায় নেতৃত্ব হিসেবে কোর কমিটির সদস্যদের মধ্যে তিনটি নাম প্রস্তাব আকারে উঠেছিল। সেই তালিকায় কাজল শেখের নামও এসেছে। তবে এ দিনের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।

কয়েক মাস আগেও নাম না করে অনুব্রত-সহ বিভিন্ন দলীয় নেতাকে নিশানা করে দুর্নীতির নানা অভিযোগে সমাজমাধ্যমে কটাক্ষ করে পোস্ট করে (আনন্দবাজার ওইসব পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি) একাধিকবার বির্তক উস্কে দিয়েছিলেন কাজল। এখন কোর কমিটির সদস্য হয়ে কাজল অবশ্য বলছেন, ‘‘আমি কারও উদ্দেশ্যে পোস্ট করিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওই সব পোস্ট করা হয়েছিল।’’

বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি (বোলপুর) সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডলের কটাভ, ‘‘শাসক দলের আরও অনেকের গ্রেফতার হওয়া সময়ের অপেক্ষা। দুর্নীতির মাসুল পঞ্চায়েতে ভোটে চোকাতে হবে তৃণমূলকে।’’ কাজলের পাল্টা দাবি, ‘‘সব বিজেপির চক্রান্ত। পঞ্চায়েত ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’’ তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কারও গ্রেফতারিতে দলে বা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন তার দায় সম্পুর্ণরূপে তাদের। দলে তা নিয়ে কোনও উদ্বেগ নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন