Tarapith Deaths

প্রেমিকার বাড়ি গিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে বাইরে বেরিয়ে আত্মঘাতী যুবক! তারাপীঠের গ্রামে শোরগোল

বৃহস্পতিবার রাতে সুস্মিতা তাঁর বোনের সঙ্গে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত ১০টা নাগাদ বিক্রম তাঁর ঘরে ঢোকেন। যুবতীর মুখ চেপে ধরে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২৫ ১৪:৫৭
Share:

(বাঁ দিকে) সুস্মিতা বায়েন। (ডান দিকে) বিক্রম মাল। —নিজস্ব চিত্র।

প্রেমিকাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী প্রেমিক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য বীরভূমের তারাপীঠ থানার খামেড্ডা গ্রামে। মৃত যুবক এবং যুবতীর নাম বিক্রম মাল এবং সুস্মিতা বায়েন।

Advertisement

যুবতীর পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সুস্মিতা তাঁর বোনের সঙ্গে বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন। রাত ১০টা নাগাদ বিক্রম তাঁর ঘরে ঢোকেন। যুবতীর মুখ চেপে ধরে ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন।

সুস্মিতার চিৎকারে তাঁর বোন এবং বাবা-মায়ের ঘুম ভেঙে যায়। তখন বিক্রম ওই বাড়ি থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত সুস্মিতাকে রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাচ্ছিল পরিবার। কিন্তু হাসপাতালে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্য দিকে, শুক্রবার সুস্মিতার বাড়ি থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে সাহাপুর গ্রামের কাছে একটি ইটভাটার ধারে একটি গাছে বিক্রমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। মনে করা হচ্ছে, প্রেমিকাকে কুপিয়ে রাতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

Advertisement

মৃতার পরিবারের অভিযোগ, সুস্মিতা এবং বিক্রমের সম্পর্কে চিড় ধরেছিল। কিন্তু জোর করে এবং ভয় দেখিয়ে সুস্মিতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বিক্রম। সুস্মিতা তাতেও রাজি হননি। সম্প্রতি এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। সেই খবর পেয়েই বিক্রম বাড়িতে ঢুকে যুবতীকে খুন করেন। এই ঘটনা নিয়ে মৃত যুবকের পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

দুই অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুটি দেহই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement