লেনদেনে অসঙ্গতি, বীরভূম থেকে ধৃত

সিউড়ির ওই ব্যাঙ্ক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত দু’মাসে বিভিন্ন সময়ে ধৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ভিন রাজ্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ঢুকছিল। সঙ্গে সঙ্গে তা তুলেও নেওয়া হচ্ছিল। এই ভাবে লাখ তিনেক টাকার লেনদেন হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০১:১০
Share:

কার্যত নিষ্ক্রিয় একটি নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত দু’আড়াই মাস ধরে ভিন্ রাজ্য থেকে একাধিক অসঙ্গতিপূর্ণ লেনদেন নজরে এসেছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। সেই অ্যাকাউন্ট যাঁর নামে, তাঁকে সোমবার বীরভূম থেকে গ্রেফতার করেছে কলকাতার বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট।

Advertisement

ধৃত অভিমন্যু ঘোষের বাড়ি সদাইপুর থানার আদুরিয়া গ্রামে। সিউড়ির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট রয়েছে। ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পেয়ে প্রথমে সিউড়ি থানার পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করে। রাতে বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বিধাননগরে হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিমন্যুকে ধরা হয়েছে। নিজেকে দিনমজুর পরিচয় দিয়ে অভিমন্যু অবশ্য দাবি করেছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আড়াই মাস আগেই তাঁর এটিএম কার্ড হরিয়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘কার্ড হারানোর কথা পুলিশ বা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে কোথাও জানাইনি। ওটাই ভুল হয়ে গিয়েছে।’’

সিউড়ির ওই ব্যাঙ্ক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, গত দু’মাসে বিভিন্ন সময়ে ধৃত ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ভিন রাজ্যের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ঢুকছিল। সঙ্গে সঙ্গে তা তুলেও নেওয়া হচ্ছিল। এই ভাবে লাখ তিনেক টাকার লেনদেন হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে অ্যাকাউন্টে দু’মাস আগে প্রায় টাকাই ছিল না, লেনদেনও ছিল নামমাত্র, সেখানে হঠাৎ এত টাকা জমা ও তোলা বেড়ে যেতেই তাঁদের সন্দেহ জাগে। একাধিক লেনদেন অসঙ্গত ঠেকায় চিঠি দিয়ে ওই গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Advertisement

মাস খানেক আগে বিধানগর কমিশনারেটে অভিমন্যুর বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে আর্থিক প্রাতারণার অভিযোগ হওয়ার পরে পুলিশও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগযোগ করে। এ বারও ব্যাঙ্ক চিঠি পাঠিয়েও তাঁর কোনও সাড়া পায়নি। সোমবার অভিমন্যু ব্যাঙ্কে এসে এটিএম কার্ড হারানোর কথা বলতেই তাঁকে কথায় ব্যস্ত রেখে পুলিশে খবর দেয় ব্যাঙ্ক। পুলিশ আরও জেনেছে, ধৃত ব্যক্তি নিজেকে দিনমজুর বলে পরিচয় দিলেও আদতে তিনি বক্রেশ্বর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মাল্টি পারপজ কো-অপারেটিভ সোসাইটির কর্মী। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সেখানে কাজ করছেন। এটিএম কার্ড হারানো সত্ত্বেও কেন তিনি এত দিন সে কথা পুলিশ বা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানাননি, সে প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পাশাপাশি তিনি নিজের অ্যাকাউন্ট অন্য কাউকে লেনদেনের স্বার্থে ব্যবহার করতে দিয়েছেন কিনা, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন