আদ্রায় ভরদুপুরে খুন হলেন এক ব্যবসায়ী। মৃতের নাম পিন্টু বর্মা (৩০)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, আততায়ীরা মোটরবাইকে এসে খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে চম্পট দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় পিন্টুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আদ্রা বাজারে পিন্টুর সব্জির ব্যবসা রয়েছে। রেলের ঠিকাদারির কাজেও যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশ জেনেছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, বছর তিনেক আগে আদ্রা নর্থ স্টেশন মোড়ে খুন হন সঞ্জীব সিংহ ওরফে বাবু। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ পিন্টুকে গ্রেফতার করেছিল। মাস তিনিক জেলও হয়। তাঁর নামে পুলিশ চার্জশিটও জমা দেয়। বর্তমানে জামিনে ছিলেন তিনি। ওই খুনের সঙ্গে এ দিনের ঘটনার কোনও যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে রাত পর্যন্ত পিন্টুর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
পুলিশের দাবি, শুক্রবার বেলা এগারোটা নাগাদ আদ্রা রেলওয়ে গার্লস স্কুলের পিছনের দিকের রাস্তা ধরে সাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন পিন্টু। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল, চলছিল স্কুলও। পিছনের দিকের রাস্তা হওয়ায় ওই সময় ওই পথে লোকের যাতায়াত কম ছিল। সেই সুযোগই নেয় আততায়ীরা। সুনসান ওই রাস্তায় মোটরবাইকে এসে খুব কাছ থেকে পরপর গুলি ছোড়ে আততায়ীরা। পরে পথচারীরাই পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে।
খুনের খবর পেয়ে রঘুনাথপুরের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে আসেন। কাশীপুরের সিআই সত্যব্রত চক্রবর্তী, আদ্রা থানার ওসি পঙ্কজ সিংহও যান। দুপুরে আসেন পুলিশ সুপার রূপেশ কুমার। পুলিশের দাবি, পিন্টুকে অন্তত পাঁচটি গুলি করা হয়েছে। তিনটি বেঁধে মাথায়, আর দু’টি হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। দ্রুত ‘অপারেশন’ সেরে আততায়ীরা রঘুনাথপুরের দিকে চম্পট দিয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। মোটরবাইক আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার নিয়ে কয়েক দিন ধরেই পুরুলিয়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় নাকা চেকিং করছে পুলিশ। খুনের পরে সেই চেকিং আরও জোরদার করা হয়। বিভিন্ন রাস্তায় মোটরবাইকের ডিকি খুলেও চেকিং করা হয়েছে। তবে আততায়ীদের নাগাল পায়নি পুলিশ। এই খুনের সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের কোনও আন্তঃরাজ্য দুষ্কৃতি চক্রের যোগ রয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রঘুনাথপুরের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।