Bagtui

Bagtui: চেক-চাকরি পেল কে, প্রশ্ন পরিবারের

২১ মার্চ বগটুইয়ের সোনা শেখের বাড়িতে যে সাত জনের দগ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নানুরের বাসিন্দা সাজিদুর ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২২ ০৮:২০
Share:

সাজিদুরের পরিজন। নিজস্ব চিত্র।

বগটুই কাণ্ডে মৃত্যু হয়েছিল মাদ্রাসার শিক্ষক কাজী সাজিদুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী মর্জিনা খাতুনের। মুখ্যমন্ত্রী গ্রামে গিয়ে নিহতদের পরিবারের কাউকে চাকরি দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সাজিদুরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ক্ষতিপূরণের টাকা ও চাকরি মিললেও, মর্জিনার জন্য টাকা বা চাকরি তাঁরা পাননি, এমনই অভিযোগ নিয়ে সোমবার জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন সাজিদুরের পরিবারের লোকজন। জেলাশাসকের দফতরে তাঁরা লিখিত আবেদন করেন।

Advertisement

২১ মার্চ বগটুইয়ের সোনা শেখের বাড়িতে যে সাত জনের দগ্ধ লাশ উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন নানুরের বাসিন্দা সাজিদুর ও তাঁর স্ত্রী মর্জিনা। সাজিদুরের পরিবারের লোকজনের দাবি, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বগটুই অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির জন্য নিয়োগপত্র এবং আর্থিক সাহায্যের চেক তুলে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সাজিদুরের মৃত্যু বাবদ টাকার চেক ও চাকরি পেয়েছেন। সাজিদের বড়দা আব্দুস সামাদ কাজীকে নানুর ব্লক অফিসে চাকরি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, মর্জিনার মৃত্যুতে চেক ও চাকরি সাজিদের পরিবারের কেউ পাননি। সাজিদুরের পিসতুতো দাদা কাজল মোল্লা বলেন, ‘‘মর্জিনার মৃত্যুতে যাঁদের চাকরি ও টাকা প্রাপ্য, তাঁরা কেউ তা পাননি। তা হলে ওই চাকরির নিয়োগপত্র ও চেক কোথায় গেল? কে নিয়েছে? তা হদিস করার জন্য আমরা জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ এই নিয়ে মর্জিনার কাকা এবং স্বজনহারা মিহিলাল শেখ বলেন, ওঁরা ‘‘ডিএম অফিসে কী কথা ওঁরা (সাজিদুরের পরিবার) বলেছেন, তা ওঁরা ভাল জানবেন। আমরা কোনও কিছুর দাবি করিনি। ডিএম অফিস থেকে (চেক-চাকরি) দেওয়া হয়েছে, তাই নিয়েছি।’’

জেলাশাসক বিধান রায়কে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। জবাব আসেনি মেসেজের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন