পাত্রী নবম শ্রেণির ছাত্রী। বছর পনেরোর সেই নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছিল গ্রামে। খবর পেয়ে হিড়বাঁধের যুগ্ম বিডিও ও চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখলেন থানার ওসি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানার হাতিরামপুর গ্রামে মঙ্গলবারের ঘটনা।
হিড়বাঁধ থানার ওসি জানান, হাতিরামপুর গ্রামের এক কিশোরীর সঙ্গে ভগড়া গ্রামের এক যুবকের বিয়ে দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার দুপুরে খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ব্লক অফিসে এবং চাইল্ড ওয়েলফেয়ার দফতরের আধিকারিককে জানানো হয়। এরপর যুগ্ম বিডিও অমিতেশ চটোপাধ্যায় এবং চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি ওই গ্রামে পৌঁছন। পাত্রীর যে এখনও বিয়ের বয়স হয়নি তা মেয়েটির অভিভাবকদের বুঝিয়ে বলা হয়। ওই পুলিশ অফিসারের কথায়, ‘‘বুঝিয়ে বলতেই বিয়ে বন্ধ করতে রাজি হয়ে যান পরিবারের লোকেরা।” ১৮ বছরের আগে ওই কিশোরীর বিয়ে দেবেন না এই মর্মে মুচলেকাও দিয়েছে তার বাবা।
১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেওয়া অপরাধ সে কথা মেনে নিয়েছেন ওই কিশোরীর বাবা। তাঁর দাবি, “পাত্র ভাল ছিল। তাই আমরা দুই পরিবারই এই বিয়েতে রাজি ছিলাম। কিন্তু, ওসি, যুগ্ম বিডিওরা বুঝিয়ে বলতে বুঝতে পারি বড় ভুল করে ফেলছিলাম।’’
প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ছেলেদের ২১ আর মেয়েদের ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া অপরাধ সেটা অনেকেই জানেন না। প্রচারে খামতি রয়েছে সে কথাও মেনেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সোমবারই পুরুলিয়ার মফস্সল থানার গোঁসাইডি গ্রামে এক নাবালিকার বিয়ে রুখেছিল চাইল্ড লাইন। সেখানে বিয়ের কার্ড বিলিও করা হয়েছিল। বরাত দেওয়া হয়েছিল মিষ্টি, সন্দেশের। আয়োজন যখন শেষ মুহূর্তে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে স্কুল থেকে ওই কিশোরীর বয়স জেনে ওই বিয়ে রুখে দিয়েছিল চাইল্ড লাইন।