দশ দিন পেরিয়ে ধরা পড়ল হনুমান

এলাকবাসী জানান, রাজগ্রাম স্টেশন ও বাজার এলাকার ফলের দোকান, আনাজ ব্যবসায়ীদের ফল ও আনাজ নষ্ট করছিল হনুমানটি। বাধা দিতে গেলে জুটছিল কামড়। ঠিক মতো ব্যবসা করা যাচ্ছিল না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৯ ০২:৪১
Share:

বন্দি: খাঁচায় আটক ‘হানাদার’ হনুমান। শুক্রবার রাজগ্রামে। নিজস্ব চিত্র

দশ দিন তাণ্ডব চালানোর পরে অবশেষে ধরা পড়ল হনুমান। স্থানীয়েরা জানান, হনুমানটি মুরারই থানার রাজগ্রাম পশ্চিম বাজারে টানা তাণ্ডব চালাচ্ছিল। ১২ জন মানুষকে আঁছড়ে, কামড়েও দিয়েছে। হনুমানের ভয়ে বাড়ির ছোটদের গৃহবন্দি করে রাখছিলেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবার বন দফতরের কর্মীরা এসে হনুমানটিকে ধরে।

Advertisement

এলাকবাসী জানান, রাজগ্রাম স্টেশন ও বাজার এলাকার ফলের দোকান, আনাজ ব্যবসায়ীদের ফল ও আনাজ নষ্ট করছিল হনুমানটি। বাধা দিতে গেলে জুটছিল কামড়। ঠিক মতো ব্যবসা করা যাচ্ছিল না। সকলে ভেবেছিলেন নিশ্চয়ই হনুমানটি অন্যত্র চলে যাবে। কিন্তু, কোথাও না গিয়ে স্টেশন চত্বরেই তিন-চার জন যাত্রীকে জখম করে। বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের পিঠে কামড়ে দেয়। এর পরে রাজগ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে বন দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দফতর একটি খাঁচা রাজগ্রামে পাঠিয়ে দেয়। রামপুরহাট রেঞ্জ অফিসার ও কর্মীরা রাজগ্রাম আনাজ বাজারে হনুমানটিকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে। তার পরে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যায়।

রাজগ্রাম বাজারের বাসিন্দা সুভাষ রায়ের কথায়, ‘‘দিন পাঁচেক হল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা দায় হয়েছিল। বেশ কয়েক জনকে কামড়েছে। রেলযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ হতে লাঠি নিয়ে রাস্তায় যাতায়াত করছিলেন।’’ রাজগ্রামের বাসিন্দা বাপি কাজী বলেন, ‘‘বাড়ির বাচ্চাদের ভয়ে স্কুলে পাঠাতে পারছিলাম না। পরিবারের মেয়েরা নিশ্চিন্তে ছাদে পর্যন্ত উঠতে পারছিলেন না। বন দফতর হনুমানটিকে খাঁচাবন্দি করায় শান্তিতে থাকতে পারব।’’ দফতরের রামপুরহাট রেঞ্জ অফিসার সুষেন কর্মকার জানান, হনুমানটিকে ধরতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি। রাজগ্রামের লোকজনও সাহায্য করেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তির দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চিকিৎসার খরচ অনেক সময় বহন করা হয়ে থাকে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন