মাকে পিটিয়ে খুনে যাবজ্জীবন

মাকে পিটিয়ে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ছেলের। শনিবার এই রায় ঘোষণা করেছেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ২ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রশান্তকুমার শীল। সাজাপ্রাপ্তের নাম শিবু মাঝি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৬ ০১:১০
Share:

সাজাপ্রাপ্ত শিবু মাঝি। —নিজস্ব চিত্র

মাকে পিটিয়ে খুন করার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ছেলের। শনিবার এই রায় ঘোষণা করেছেন পুরুলিয়া জেলা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ২ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক প্রশান্তকুমার শীল। সাজাপ্রাপ্তের নাম শিবু মাঝি।

Advertisement

মামলার সরকারি আইনজীবী আনোয়ার আলি আনসারি জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি, মানবাজার থানার চিরুভিটা গ্রামে। শিবু অন্য গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। চিরুভিটায় থাকতেন তাঁর বৃদ্ধা মা রজনী মাঝি এবং ভ্রাতৃবধূ সন্ধ্যা মাঝি।

মাঝে মধ্যেই শিবু বাড়িতে এসে বিভিন্ন দাবিতে তাঁদের চাপ দিত। আইনজীবী জানান, ওই রাতে হঠাৎ বাড়িতে এসে মায়ের কাছে খাবার চান শিবু। না পেয়ে উঠোনে পড়ে থাকা একটি জ্বালানি কাঠ তুলে নিয়ে মাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে। শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে সন্ধ্যাদেবীও জখম হন। তাঁর চিৎকারে পড়শিরা চলে আসেন। সন্ধ্যাদেবীকে উদ্ধার করে মানবাজার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল রজনীদেবীর।

Advertisement

পরের দিন মানবাজার থানায় সন্ধ্যাদেবী শিবুর বিরুদ্ধে অভিয়োগ দায়ের করেন। শিবুকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বছর মার্চে পুলিশ আদালতে মামলার চার্জশিট পেশ করে। শিবুর জামিনের আবেদন নাকচ হয়।

সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ দিন বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন। অভিযুক্ত শিবু মাঝির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দু’ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছ’মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি, ভ্রাতৃবধূকে মারধর করার দায়ে ৩ বছর কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়েছে। আইনজীবী জানিয়েছেন, দু’টি সাজাই এক সঙ্গে চলবে।

প্রশিক্ষণ শিবির। কম সময়ে বেশি ফলনের কৌশল শেখাতে প্রশিক্ষণ শিবির করল পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ। সম্প্রতি বাঁকুড়ার লালগেড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় ৪০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে শিবির শুরু হয়েছে। রয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। পশিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অ্যাকাউন্ট অফিসার হরিপদ দাস জানান, উন্নত মানের যে সমস্ত সব্জির বাজারে চাহিদা রয়েছে সেগুলি চাষ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন