ফায়ারিং থেকে ভল্ট, প্রশিক্ষণ এনসিসি-র

বর্ধমানে এনসিসি-র গ্রুপ হেড কোয়ার্টারের উদ্যোগে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এনসিসি সিউড়ি-র ১৫ ব্যাটালিয়ন। ৩০ মে থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পের শেষ দিন আজ, বৃহস্পতিবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রাজনগর শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ০১:২৬
Share:

একাগ্র: গরমের ছুটিতে এনসিসি ক্যাম্পে ক্যাডেটস্‌রা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে সিনিয়রদের কাছে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজনগরের লাউজোড় স্কুল ঘেঁষে একটি ‘স্মল আর্মস ফায়ারিং রেঞ্জ’ গড়েছিল এনসিসি। এ বার সেখানেই পাঁচটি জেলার স্কুল-কলেজ থেকে আসা ৪০০ জন এনসিসি ক্যাডেটস্‌দের নিয়ে চলছে ১০ দিনের ‘কম্বাইন্ড অ্যানুয়াল ট্রেনিং ক্যাম্প’। বর্ধমানে এনসিসি-র গ্রুপ হেড কোয়ার্টারের উদ্যোগে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে এনসিসি সিউড়ি-র ১৫ ব্যাটালিয়ন। ৩০ মে থেকে শুরু হওয়া ক্যাম্পের শেষ দিন আজ, বৃহস্পতিবার।

Advertisement

এনসিসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে, একতা ও শৃঙ্খলাপরায়ণ করতে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের এনসিসি শেখানো হয়। মাস কয়েক আগে লাউজোড় স্কুল তাদের অষ্ঠম ও নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের এনসিসি প্রশিক্ষণ দিতে রাজি হয়। প্রত্যন্ত এলাকায় জঙ্গল-ঘেঁষা নিরিবিলি ওই স্কুল চত্বরের কাছে প্রশিক্ষণ শিবির আয়োজন করার মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলে এনসিসি। এটাই প্রথম ক্যাম্প। স্কুলে গরমের ছুটিতে আয়োজিত ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হুগলি এবং পুরুলিয়ার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে ২০৬ জন পুরুষ ক্যাডেটস্ ও ১৯৪ জন মহিলা ক্যাডেটস্ যোগ দিয়েছে।

কেন ক্যাম্প?

Advertisement

লেফটেন্যান্ট কর্নেল এন এস মাহারা ও কর্নেল স্বপনকুমার চক্রবর্তীরা জানাচ্ছেন, স্কুলে ‘কম্বাইন্ড অ্যানুয়াল ট্রেনিং’ ক্যাম্প করার উদ্দেশ্য দুটি। এক, এক জন পড়ুয়া কতটা শিখছে সেটা যাচাই করা। এবং আগামী দিনে দিল্লির স্থলসেনা ক্যাম্পে কোন কোন এনসিসি ক্যাডেটস্ নির্বাচিত হবে, তার প্রাথমিক বাছাই পর্ব চলছে এখানে। ‘ওয়েপন ট্রেনিং’, ‘ফায়ারিং’, ‘ম্যাপ রিডিং ড্রিল’ এবং ‘ফিল্ড ক্রাফ্ট’ ও ‘ব্যাটেল ক্রাফ্ট’-এর মতো বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও যোগ্যতা যাচাই হবে ক্যাডেটস্‌দের।

দুই আধিকারিক বলছেন, ‘‘আগামী মাসের ৪ থেকে ১৩ জুলাই এবং ২৪ থেকে ২ অগস্ট পর্যন্ত আরও দুটি ক্যাম্প হবে। মোট তিনটি ক্যাম্প থেকে যোগ্যতার নিরিখে ৪০ জন ছেলে ও ৪০ জন মেয়েকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত মেয়েরা দার্জিলিংয়ে এবং ছেলেরা খড়্গপুরে প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দেবে। সেখানেই ঠিক হবে রাজ্য থেকে কত জন দিল্লি যাবে।’’

এই প্রথম বাড়ি ছেড়ে টানা শিবিরে থাকা এবং এত কিছু শেখা অনন্য অভিজ্ঞতা বলে জানাচ্ছেন, রানিগঞ্জ গার্লস্কুলের ছাত্রী আরতী কুমারী, বর্ধমান ওয়েমেন্স কলেজের ছাত্রী সুমিত্রা ঘোষেরা। বিশ্বভারতীর ছাত্র শুভম বসু, দুর্গাপুর আইটিআই-র কষ্ণেন্দু রায়রা বলছে, ‘‘খুব ভাল কাটল এই ক’টা দিন। পরিশ্রম যেমন হয়েছে, প্রশিক্ষণও খুব ভাল হয়েছে।’’

‘‘এ ভাবে এত স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের নিয়ে ক্যাম্প স্কুলের ছাত্রদের কাছেও অনুপ্রেরণা’’— বলছেন প্রধান শিক্ষক দিলীপ ডোম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন