—ফাইল চিত্র।
এখানের মাটিতে পা পড়েছিল খোদ সুভাষচন্দ্র বসুর। তাঁর জন্মজয়ন্তীতে সেই ইতিহাসকে ফিরে দেখল কাশীপুর পঞ্চায়েত সমিতি।
জেলার ইতিহাস গবেষক দিলীপকুমার গোস্বামী জানান, ১৯৩৯ সালের ৯ ডিসেম্বর সুভাষচন্দ্র কাশীপুরে এসেছিলেন। ওই বছর ২০ এপ্রিল তিনি কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছেড়ে দেন। গঠন করেন নতুন দল—ফরওয়ার্ড ব্লক। দিলীপবাবু জানান, সেই সময়টা দেশের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৪০ সালের মার্চে রামগড়ে হবে জাতীয় কংগ্রেসের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন। তার আগে ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস ব্রিটিশের সঙ্গে আপোস-নীতি চূড়ান্ত করবে, এটা ধরে নিয়ে সুভাষচন্দ্র ওই একই সময়ে রামগড়েই আপোস বিরোধী সম্মেলন করবেন বলে ঠিক করেন। ৯ ডিসেম্বর তিনি মানভূমে আসেন।’’ তিনি জানাচ্ছেন, জ্বর নিয়েই সুভাষচন্দ্র কুড়ি-বাইশটি সভা করেছিলেন এখানে এসে। তার অন্যতম কাশীপুরের চকবাজারেরটি।
স্থানীয় বাসিন্দা জগন্নাথ দত্ত জানান, সুভাষচন্দ্রের কাশীপুরে আসার স্মৃতি ধরে রাখতে ওই জায়গায় তাঁর আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। বুধবার চকবাজারের সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় মাইকেল মধুসূদন দত্ত কলেজের অধ্যক্ষ বিভাসকান্তি মণ্ডল, বিডিও সুচেতনা দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুপ্রিয়া বেলথরিয়া-সহ এলাকার বিশিষ্ট মানুষজন। রেণুকা সেন নামে স্থানীয় এক বালিকা নেতাজির গলায় মালা দিয়েছিলেন। তাঁর সন্তান তথা স্থানীয় নেতাজি স্মৃতিরক্ষা কমিটির সদস্য মোহন সেন বলেন, ‘‘মায়ের কাছে নেতাজির কথা অনেক বার শুনেছি। তাঁকে মালা পরানোটা মার খুব গর্বের ব্যাপার ছিল। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত সেই স্মৃতি রোমন্থন করেছেন।’’
জেলা পরিষদের সদস্য সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘নেতাজির এই মাটিতে আগমনের ইতিহাস আমরা রক্ষা করব।’’ তিনি জানান, চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বরও সেই স্মৃতির উদ্যাপন হবে।