আকর্ষণ: তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। নিজস্ব চিত্র
সদর শহরের গা ঘেঁষা লম্বোদরপুর গ্রামের দুর্গাপুজোতে কিছু না কিছু অভিনবত্ব থাকেই প্রতিবছর। এ বারেও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। অন্নপূর্ণা সমিতির পরিচালনায় তিলপাড়া পঞ্চায়েতের লম্বোদরপুর সর্বজনীন দুর্গাপুজো এ বার পঁচিশ বছরে পা দিয়েছে।
এ বার পুজোর মূল আর্কষণ দেবী প্রতিমায়। পঁচিশটি মুখ আর পঞ্চাশটি হাত। মূল মুখাবয়বের দু’পাশে আরও সারি বদ্ধ চব্বিশটা মুখ ত্রিভুজের আকারে থাকছে এ বার প্রতিমায়। দেবীর হাতে বরাভয় মুদ্রা, কোনও অস্ত্র নেই। সিংহাসনে বসার ভঙ্গিমা তাঁর সঙ্গে দু’পাশে দুই অসুর আর তিনটি সিংহ। মোট ১৪ ফুট লম্বা ৮ ফুট চওড়া দক্ষিণের দুর্গার আদলে মাটির প্রতিমা করছেন পড়শী জেলা মুর্শিদাবাদের কাঁদির শিল্পী অলোককুমার দাস।
এ বারের মণ্ডপ তৈরি হয়েছে ইন্দ্রর রাজসভার আদলে। যেখানে থাকবে দুটি সিংহ আর পাঁচটি পুতুল। মূল প্রতিমার তিন দিক ঘিরে থাকবে রাতের উজ্জ্বল আকাশের গ্রহ নক্ষত্রের বিশেষ ত্রিমাত্রিক প্রদর্শনী। পুজোর উদ্বোধন হবে ষষ্ঠীর সন্ধ্যায়। কমিটির সভাপতি রঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গ্রামের পুজোও যাতে শহরের সঙ্গে সমান ভাবে দর্শকদের আনন্দ দেয় সেটাই লক্ষ্য।” কমিটির সম্পাদক হৃদয় দাস বলেন, ‘‘সিউড়ির পুজোর দর্শনার্থীরা আমাদের গ্রামের থিমের পুজো দেখুক আমাদের সেটাই কাম্য। আগের বছর গুলোতে আমাদের মাটির প্রতিমার নড়াচড়া, মোমবাতির আদলে প্রতিমা, মাটির দিয়ে তৈরি দর্শকদের আনন্দ দিয়েছে।” বাজেট আড়াই লক্ষ টাকা। যার সিংহ ভাগ দেন গ্রামের মানুষ। রীনাদাস, মিতা দাস, কাজল দাসেরা পুজোর ক’দিন খুব ব্যস্ত। মণ্ডপের কাজের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন। কলেজ ছাত্রী মামন রজক বলেন, ‘‘গ্রামের পুজোর আলাদা আনন্দ, সকলে মিলে খুব মজা হয়।”