পাকা রাস্তা কবে, প্রশ্ন তালোয়ায়

একটি রাস্তার দৈর্ঘ্য মাত্র তিন কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি এক। প্রথম রাস্তাটি স্বাধীনতার এত বছর পরেও পাকা হয়নি। অন্যটির মোরাম উঠে গিয়েছে কবেই। ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের তালোয়া পঞ্চায়েতের ওই দু’টি রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩২
Share:

একটি রাস্তার দৈর্ঘ্য মাত্র তিন কিলোমিটার। দ্বিতীয়টি এক। প্রথম রাস্তাটি স্বাধীনতার এত বছর পরেও পাকা হয়নি। অন্যটির মোরাম উঠে গিয়েছে কবেই। ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের তালোয়া পঞ্চায়েতের ওই দু’টি রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তার পরেও রাস্তা দু’টি পাকা করার ব্যাপারে প্রশাসন কান দেয়নি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তালোয়া গ্রাম থেকে পশ্চিমগামিনী গ্রামের তিন কিলোমিটার রাস্তা স্বাধীনতার আগে থেকেই মাটির রাস্তা। রাস্তাটিকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় পাকা করার জন্য তিনটি গ্রামের মানুষ বহুবার পঞ্চায়েত সমিতির কাছে দাবি জানিয়েছেন। পশ্চিমগামিনী গ্রামের ফটিক বাগদি, প্রাথমিক শিক্ষক রাধারমণ মণ্ডল, নামো তালোয়া গ্রামের বাসিন্দা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, ‘‘বর্ষা এলেই রাস্তা কাদাময় হয়ে যায়। কোনও যানবাহন চলতে পারে না।’’ অথচ ওই তিন গ্রামের রেশনের দোকান তালোয়া গ্রামে। কিন্তু বর্ষার সময়ে বহু মানুষ সেখানে রেশনের মাল তুলতে যেতে পারেন না। এমনকী, কাছের প্রাথমিক ও হাইস্কুলও ওই তালোয়া পঞ্চায়েতের রামভদ্রপুর গ্রামে। কিন্তু, বেহাল রাস্তার কারণে পড়ুয়ারা কানাচি গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে। দ্বিতীয় রাস্তাটি হল রামভদ্রপুর গ্রামে আসা-যাওয়া করার। মাত্র এক কিলোমিটার ওই রাস্তায় বহু কাল আগে মোরাম পড়েছিল। এখন শুধু মাটির রাস্তা। ফলে গ্রামের চারপাশে ৮-১০টি গ্রামের পড়ুয়া বর্ষায় স্কুলে যেতে পারে না। তালোয়া গ্রামের হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নবকুমার ঘোষ বলছেন, ‘‘রাস্তায় ব্যাপক কাদা জমায় অনেক ছাত্রছাত্রী বর্ষায় স্কুলে আসতে পারে না।’’ পাশাপাশি ওই গ্রামের এবং পশ্চিমগামিনী-সহ তিনটি গ্রামের মানুষের কাজের অভাবে রুজিরুটিতে টান পড়ে।

এ ব্যাপারে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির দিকেই আঙুল তুলেছেন পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রধান হজ মহম্মদ। তাঁর সরাসরি অভিযোগ, ‘‘সিপিএমের হাতে থাকায় এই পঞ্চায়েতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এবং উন্নয়নের জন্য পঞ্চায়েত সমিতি সভাপতি কোনও উদ্যোগ নেননি।’’ তাঁর অভিযোগ মানতে চাননি সভাপতি ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আশ্বাস, “পঞ্চায়েত সাহায্য করলে আমাদের ব্লকটিকে মডেল ব্লক রূপে গড়ে তুলব।” পক্ষপাতের অভিযোগ মানেননি এলাকার তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ও। দু’টি রাস্তা পাকা করার ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement