দরজায় তালা, যাত্রীদের ভরসা ঝোপই

কিসান মান্ডি চত্বরে সুলভ শৌচালয় থাকলেও অভিযোগ, এটি বেশির ভাগ সময়েই খোলা থাকে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মানবাজার শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১৪
Share:

বাসস্ট্যান্ড চত্বরে। নিজস্ব চিত্র

মহকুমার সদর মানবাজার। বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন কয়েক হাজার বাসিন্দা এই শহরে আনাগোনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, সদর শহর হলেও এখানে যথেষ্ট সংখ্যক শৌচালয় নেই। ফলে প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হয় শহরে আসা মানুষদের। প্রয়োজনে ‘স্বচ্ছ ভারত’, ‘নির্মল বাংলা’র কথা ভুলে শৌচকর্ম সারতে শহরের বুকে আড়াল-আবডাল খুঁজতে বাধ্য হন তাঁরা।

Advertisement

মানবাজারে সব মিলিয়ে ছ’টি সাধারণ শৌচাগার রয়েছে। তার মধ্যে চালু রয়েছে মোটে দু’টি।

বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে দু’টি শৌচালয়। পঞ্চায়েত সমিতির আর্থিক বরাদ্দে নির্মিত একটি শৌচালয় নির্মাণের পর থেকেই তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অপরটি পূর্ত দফতরের আর্থিক বরাদ্দে তৈরি হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই শৌচালয়টি চালু করেছে।

Advertisement

কিসান মান্ডি চত্বরে সুলভ শৌচালয় থাকলেও অভিযোগ, এটি বেশির ভাগ সময়েই খোলা থাকে না। পুরনো বাসস্ট্যান্ড চত্বরে একটি শৌচালয় রয়েছে বটে, কিন্তু অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এই শৌচালয় ব্যবহারের অযোগ্য। এ ছাড়া ইন্দকুড়িতে বন দফতরের অফিসের গা ঘেঁষে একটি সুলভ শৌচালয় রয়েছে। তা অবশ্য চালু রয়েছে।

রোগীদের সঙ্গে আসা লোকজনদের জন্যে মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে একটি সুলভ শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। তবে কয়েক বছর ধরে সেটাও পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, জলের সংযোগ না থাকায় সেই শৌচালয় চালু করা সম্ভব হয়নি।

পুরুলিয়া জেলা স্কুল ক্রীড়া কমিটির সম্পাদক তথা বামনি গ্রামের বাসিন্দা শান্তিগোপাল মাহাতো বলেন, ‘‘ছেলের ওষুধ কিনতে মানবাজার এসেছিলাম। কোথাও শৌচাগার না থাকায় বাধ্য হয়ে বাসস্ট্যান্ডে এসে কাজ সারতে হচ্ছে।’’ পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার ওষুধের ব্যবসায়ী সমীর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কাছেই একটি শৌচালয় রয়েছে। কিন্তু এত নোংরা যে ভিতরে ঢোকা যায় না।’’

শৌচালয়ের সমস্যা নিয়ে আইএনটিটিইউসির মানবাজার ১ ব্লক সভাপতি জয়দেব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ড চত্বরে শৌচালয় ব্যবহারের জন্যে ন্যূনতম পয়সাও অনেকে দিতে চান না। উপরন্তু চত্বর নোংরা করেন।’’

মানবাজার ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি দিলীপ পাত্র এবিষয়ে বলেন, ‘‘বাসস্ট্যান্ড চত্বরে স্থিত আরও একটি শৌচালয় কেন চালু হয়নি খোঁজ নিচ্ছি। তবে বাজারের মধ্যে কয়েকটি সুলভ শৌচালয় নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জায়গা বাছাই হয়ে গিয়েছে।’’

এখন কবে সেই সব শৌচালয় নির্মাণ হবে, সেই প্রতীক্ষায় রয়েছেন মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন