সা‌ংসদের উপর হামলার ঘটনায় অধরা অভিযুক্তরা

বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরে হেনস্থা করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাকে। মঙ্গলবারের সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৭:২৩
Share:

বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় দফতরে হেনস্থা করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরাকে। মঙ্গলবারের সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

Advertisement

এ দিকে বুধবারই এ নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে কলকাতা গেলেন অনুপম। কলকাতা যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য দলের নেতা গগন সরকার এমনটা করেছে।’’

এমন ঘটনায় দলের কোনও সমর্থন নেই বলেও দাবি করেছেন সাংসদ। যদিও তেমনটা মানছেন না কর্মী সভার সভাপতি গগন।

Advertisement

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সমর্থিত কর্মীসভা এবং তাদেরই দলের বোলপুর সাংসদের মধ্যে ঝামেলা বাধে মঙ্গলবার। অভিযোগ সেখানে মারধর করা হয় অনুপমবাবু এবং তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীকে। ২৪ ঘণ্টা পরেও, এই ঘটনায় কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ। সাংসদের পক্ষ থেকে আপ্ত সহায়ক এবং কর্মীসভার পক্ষ থেকে মহিলা ও পুরুষ সদস্যদের নিয়ে দুটি অভিযোগ-সহ এই ঘটনায় মোট তিনটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, শান্তিনিকেতন থানায়।

অন্যদিকে এই ঘটনায় মানসিক ভাবে এতটাই বিধ্বস্ত যে তৃণমূলের বোলপুর সাংসদ মর্মাহত হয়ে মঙ্গলবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কে রাজনীতি নিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “রাজনীতি থেকে দূরে থাক, আর মানসিক শান্তি পাও। ক্ষমতার নোংরা খেলা। সততার কোনও মূল্য নেই এখানে। যদি তুমি নোংরা আর ঘৃণ্য মন নিয়ে থাকো, তবে তুমি এখানে টিকতে পারবে।”

যদিও সাংসদের এ হেন মন্তব্য সোশ্যাল সাইটে নতুন নয়। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে এর আগে আকছার এমনই কথা বলেছেন অনুপম। এ দিন তিনি বলেন, আমার যা মনে হয়েছে, তাই লিখেছি। শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতা যাচ্ছি। রাজ্য নেতৃত্ব যা বলবে তাদের পরামর্শ এবং নির্দেশ মানব।”

মঙ্গলবারের ঘটনা সম্পর্কে দল সবিস্তারে খোঁজ নিয়েছে জানিয়ে অনুপমবাবুর দাবি, ‘‘জেলা নেতৃত্বে সঙ্গেও কথা হয়েছে। জেলা নেতৃত্বও জানিয়েছে, ওই ঘটনায় দলের কোনও সমর্থন নেই।”

এদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন রকমের রাজনীতির অনুপ্রবেশ দল বরদাস্ত করে না এবং উল্টে অনুপম হাজরা রাজনীতির প্রভাব খাটিয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছেন গগন সরকার। তাঁর দাবি, অনুপম প্রাক্তন শিক্ষক হিসেবে চাকরির পুনর্বহালের আর্জি জানাতে এলে লোকজন, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে আসতেন না। অনুপমবাবুর দাবি, ‘‘রাজ্য নেতৃত্ব মর্মাহত। মুকুলদা, ডেরেকদা, সুদীপদা ফোন করে ছিলেন। আমাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, সে কথা জেনে খুবই মর্মাহত। জেলা নেতৃত্ব ও কেষ্টদার সঙ্গেও কথা হয়েছে।’’ এ দিকে তৃণমূলের দুই নেতার এ হেন তরজা নিয়ে বুধবার বিশ্বভারতীতে ছুটির দিনেও চলল দিনভর নানা জল্পনা। কলকাতায় অনুপমকে কি বলবে দল, সে নিয়েও নানা কথা শোনা যায়। গগন অনুগামীদের দাবি, ‘‘অনুপম বার বার সোশ্যাল নেটওয়াকিং সাইটে যেভাবে মুখ খুলেছে তাতে বিরক্ত রাজ্য নেতৃত্ব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement