চিহ্নিতকরণ: মাধ্যমিকের প্রস্তুতি। শনিবার নানুরের স্কুলে। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ বছরও জেলায় ছাত্রদের থেকে বেশি ছাত্রীর সংখ্যা। গত বছরের তুলনায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও বেড়েছে এ বার। তবে স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্রের সংখ্যা একই রয়েছে— এমনই জানিয়েছেন মাধ্যমিক পরীক্ষার জেলা আহ্বায়ক প্রলয় নায়েক।
তিনি জানান, এ বছর জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৬ হাজার ৭২৪। রামপুরহাট মহকুমায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৪০৮। সিউড়িতে ১৫ হাজার ৭৪২, বোলপুরে ১১ হাজার ৫৭৪। জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৭৬। ছাত্র ১৯ হাজার ৮৪৮।
পর্ষদ সূত্রে খবর, গত বছর জেলায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল ৪৪ হাজার ১২৪। তাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭১২। ছাত্রী ছিল ২৫ হাজার ৪১২ জন। পর্ষদের হিসেবে, গত বছরের তুলনায় এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৬০০। প্রলয়বাবু জানান, এ বছর জেলায় প্রায় ১০০টি জুনিয়ার হাইস্কুলকে মাধ্যমিক স্তরে উন্নীত করা হয়েছে। তার জেরেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। কন্যাশ্রী ও সবুজসাথী প্রকল্পের জন্যই মাধ্যমিকে আরও বেশি সংখ্যক ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পর্ষদ সূত্রে জানানো হয়েছে, এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য জেলায় ১৩৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র করা হয়েছে। রয়েছে ৩৪টি মূলকেন্দ্র। রামপুরহাট, সিউড়ি ও বোলপুর মহকুমায় ১৭টি স্কুলকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে রামপুরহাট মহকুমায় ৮টি স্কুল রয়েছে। সে গুলি হল— রামপুরহাট হাইস্কুল, রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, ভগলদিঘি হাইস্কুল, নলহাটি বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, বাউটিয়া আর আর হাইস্কুল, পাইকর আরসিডিএম বালিকা বিদ্যালয়, রতনপুর জেএন হাইস্কুল এবং দুনিগ্রাম একে উচ্চ বিদ্যালয়। সিউড়ি মহকুমার ৬টি স্পর্শকাতর পরীক্ষাকেন্দ্র হল— পাড়ুই ইউনিয়ন হাইস্কুল, রামপ্রসাদ রায় স্মৃতি বিদ্যানিকেতন, বড়া হাইস্কুল, রসা মিলনী হাইস্কুল, হজরতপুর হাইস্কুল এবং গণপুর হাইস্কুল। বোলপুর মহকুমার চৌহাট্টা হাইস্কুল, ঘুড়িষা শ্রীপুর হাইস্কুল এবং সাহাপুর হাইস্কুলকে স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর মাধ্যমিক প্রশ্নপত্র বিতরণের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করা হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেই প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে পরীক্ষার্থীর মধ্যে গুনে গুনে বিলি করা হবে। কোনও পরীক্ষাহলের অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র ‘সিল’ করে প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে। প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা এবং বিলির ক্ষেত্রে এ বছর তিন জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন— ভেনু ইন-চার্জ, ভেনু সুপারভাইজার এবং পর্ষদ মনোনীত অতিরিক্ত ভেনু সুপারভাইজার।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে জেলাশাসকের মাধ্যমে এক জন করে সরকারি আধিকারিক উপস্থিত থাকবেন। ওই সরকারি আধিকারিক ব্লক অফিস বা মহকুমাশাসকের মাধ্যমে নিযুক্ত হবেন।