চলতি বছরে দুই জেলাতেই উচ্চ মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমল। গতবারের তুলনায় এ বার বাঁকুড়া জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৮৩৮ জন। আর পুরুলিয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বার ১,৮৩০ জন পরীক্ষার্থী কমে গিয়েছে।
আজ বুধবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। এ বার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমল কেন? পরীক্ষা পরিচালন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক পুরুলিয়ার কংসেশ্বর মাহাতোর মতে, ‘‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হলেও রেগুলার পরীক্ষার্থীর হার বেড়েছে। কম্পার্টমেন্টাল বা স্পেশ্যাল ক্যান্ডিডেটদের সংখ্যা কম হওয়ায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম দেখাচ্ছে।’’ বাঁকুড়া জেলার ক্ষেত্রেই একই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কংসেশ্বরবাবু জানিয়েছেন, পুরুলিয়া সদর হাসপাতাল, রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সমস্ত ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি পৃথক ঘর প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে কোনও পরীক্ষার্থী অসুস্থ হলে সেখানে পরীক্ষা দিতে পারেন। এ ছাড়া পরীক্ষার দিনগুলিতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে এবং ফোটোকপির দোকানও বন্ধ থাকবে পরীক্ষার সময়ে। কংসেশ্বরবাবু জানিয়েছেন, মাইক বিধিও যথারীতি অন্য পরীক্ষার মতোই বলবৎ থাকছে। মাইক বাজানো নিয়ে কোনও অভিযোগ থাকলে পরীক্ষার্থী বা তাঁদের অভিভাবকেরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বাঁকুড়ার স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) পঙ্কজ সরকার বলেন, ‘‘পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ। পরীক্ষার দিনগুলিতে যাতে পরিবহণ ব্যবস্থা সচল থাকে, তা দেখতে জেলার পরিবহণ দফতরকে বলা হয়েছে।’’ জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ নিগম এবং বেসরকারি বাসগুলি যাতে নির্দিষ্ট সময়ে চলে তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাসকর্মীরা যাতে পরীক্ষার্থীদের বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, সে বিষয়েও বলেছি।’’ বাঁকুড়ার জেলা পুলিশ সুপার সুখেন্দু হীরা বলেন, ‘‘পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির ভিতরে ও বাইরে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া প্রতিটি থানা এলাকায় মোবাইল ভ্যান টহল দেবে।’’