শিক্ষকের পকেটে থাকা লক্ষাধিক টাকার গয়না পড়ে গিয়েছিল। কুড়িয়ে পেয়েই গয়না ফেরত দিলেন বিষ্ণুপুরের দুই এনভিএফ কর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনা।
বিষ্ণুপুর তিলবাড়ি পাড়ার বাসিন্দা পেশায় বিষ্ণুপুরের সরকারি পলিটেকনিক কলেজের অধ্যাপক গৌতম সামন্ত আত্মীয়ের বাড়ি সিউড়ি থেকে ফিরছিলেন। বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ডে নেমে টোটো ধরতে তিনি এসডিও অফিসের পাশে যাচ্ছিলেন। সেখানেই ফুচকা খেয়ে হাত মোছার জন্য পকেট থেকে রুমাল বের করতে গিয়ে অসাবধানে পড়ে যায় কাগজে মোড়া গয়না।
বাড়ি ফিরে দেখেন পকেট ফাঁকা। বাসস্ট্যান্ড, ফুচকার দোকানে তিনি গিয়ে খোঁজ শুরু করেন। রাতে ফুচকা দোকানির বাড়়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন গয়নার হদিস পতে। সারা রাত মুষড়ে ছিলেন। শনিবার সকালে যখন থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখনই হাজির বিষ্ণুপুর থানার দুই কর্মী। খবর পেলেন, তাঁর গয়না পাওয়া গিয়েছে। দু’জন এনভিএফ কর্মীই ওই গয়না কুড়িয়ে পেয়ে ফেরত দিতে চাইছেন।
বিষ্ণুপুর থানার আইসি আস্তিক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার থানার দুই এনভিএফ কর্মী পীযুষকান্তি মণ্ডল ও অমলেন্দু চক্রবর্তী আমাদের গর্ব। তাঁদের সততা অন্যদের ভাল কাজে উৎসাহ দেবে।’’ আর দুই এনভিএফ কর্মীর বক্তব্য, ‘‘ডিউটির ফাঁকে আমরাও ওখানে ফুচকা খেতে যাই। শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন গয়নার মোড়কটা কুড়িয়ে পেলাম, তখন একটা কথা মাথায় এসেছিল, যাঁর হারিয়েছে তিনি দুশ্চিন্তায় আছেন। যেমন করেই হোক সঠিক মালিকের হাতে তা ফেরত দিতে হবে।’’
ওই শিক্ষক বলেন, ‘‘পুলিশ কর্মীদের সম্বন্ধে ধারণাই বদলে গেল।’’