Unnatural death

মদের আসরে বচসা থেকে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ হয়ে বীরভূমে মৃত্যু ২১ বছরের তরুণের, তদন্তে পুলিশ

এক বন্ধুর বাড়ির ছাদে বসে মদ্যপান করছিলেন তিন বন্ধু। সেখানেই কোনও বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। তারই ফলশ্রুতিতে গুলি চলে এবং পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় এক জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১২:৪৯
Share:

মদের আসরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু তরুণের। — নিজস্ব চিত্র।

মদের আসরে চলল গুলি! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তরুণের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের কাঁকরতলা থানা এলাকার আড়ং গ্রামে। গ্রামে তখন চলছিল কীর্তনের অনুষ্ঠান। তার মধ্যেই ঘটে যায় এই ঘটনা। আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে এল, ভেবে পাচ্ছে না গ্রাম। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আড়ং গ্রামে বসেছে কীর্তনের আসর। প্রায় গোটা গ্রামই তাতে অংশ নিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় যখন কীর্তনের আসরে গোটা গ্রাম হাজির, তখন প্রসেনজিৎ বাউড়ি নামে এক জনের বাড়ির ছাদে বসে মদ্যপান করছিলেন গ্রামেরই তিন যুবক। তিন বন্ধুর মধ্যে মদ্যপানের সময় বচসা শুরু হয়। তার পরেই গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পতিতপাবন মণ্ডল নামে বছর ২১-এর এক তরুণকে উদ্ধার করে প্রথমে নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ‘ফার্স্ট এড’ দিয়ে পতিতপাবনকে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সদর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কোথা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এল? কেনই বা গুলি চলল, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা রবিপদ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা তো বুঝতেই পারছি না, কেন গুলি চলল। কোথা থেকে এল অস্ত্র? পুলিশ তদন্ত করে দেখুক। আমাদের গ্রাম খুবই শান্ত। এখানে এই ধরনের ঘটনার কথা দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারি না। কীর্তন চলছে, তার মধ্যে ছেলেটা এ ভাবে চলে গেল, ভাবলে এখনও চোখের জল ধরে রাখতে পারছি না। খুবই দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ দেখুক, অস্ত্র কোথা থেকে এল।’’

Advertisement

গ্রামবাসীদের দাবি, আড়ং গ্রামে গোলমালের ঘটনার কথা বিশেষ শোনা যায় না। সকলেই মিলেমিশে থাকেন। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল এই ঘটনা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন