আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই নেতাদের নিরাপত্তায় আরও গুরুত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।
এ বার সশস্ত্র দেহরক্ষী পেলেন মহম্মদবাজারের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তাপস সিংহ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গেছে তাপসবাবুর নিরাপত্তায় এক ‘জুনিয়র কনস্টেবল’কে মোতায়েন করা হয়েছে।
সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যায় আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। তার জেরে তৎপর হয় রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। বাড়ানো হয় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, পূর্ত কর্মাধক্ষ কেরিম খানের নিরাপত্তাও।
এ নিয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য ফণীরঞ্জন রায় বলেন, ‘‘তৃণমূলের পাশে এখন সাধারণ মানুষ নেই। সে জন্যই ওই দলের নেতাদের দেহরক্ষী সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোম বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষের নিরাপত্তার কী অবস্থা, তা তৃণমূলের নেতাদের দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শুধু নন, বুথ সভাপতি থেকে অন্য নেতারাও ভুগছেন নিরাপত্তাহীনতায়।’’ তাপসবাবু অবশ্য পাল্টা বলেছেন, ‘‘বিরোধীদের এ সব বলা স্বভাব তা-ই বলছেন। আমাকে দেহরক্ষী দেওয়ার বিষয়টি পুলিশ-প্রশাসন ঠিক করেছে। শুধু আমি নই, ঝাড়খণ্ড লাগোয়া এলাকার সব ব্লক সভাপতিই দেহরক্ষী পেয়েছেন।’’
কৃষ্ণগঞ্জের ঘটনার জেরে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠক হয় জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসপি শ্যাম সিং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল, সিউড়ির বিধায়ক অশোক চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধক্ষ কেরিম খান, রাজনগর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সুকুমার সাধু, লাভপুর ব্লক সভাপতি তরুণ চট্টোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে সিউড়ির বিধায়ক অশোকবাবু পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করেছিলেন প্রত্যেক বিধায়ককে পাইলট গাড়ি দেওয়ার জন্য। দুই ব্লক সভাপতিও নিজেদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির অনুরোধ জানান। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজনৈতিক সংঘর্ষে বার বার শিরোনামে এসেছে জেলা। বোমাগুলির লড়াইও হয়েছে। জেলার রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা নিয়ে তাই কোনও আপোস করতে রাজি নয় প্রশাসন। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগেই খুন হয়েছিলেন খয়রাশোলের তৃণমূল ব্লক সভাপতি দীপক ঘোষও। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখেই নেতাদের নিরাপত্তায় আরও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।