প্রতীকী ছবি।
হিন্দি গানের বদলে কেন বাউল গান বা রায়বেঁশে চলছে, সেই প্রশ্ন তুলে কিছু দিন আগে হেতমপুর কৃষ্ণচন্দ্র কলেজের অনুষ্ঠান মাঝপথে বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন কিছু কলেজ পড়ুয়া। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের নবীন বরণের অনুষ্ঠানে একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি ঠিকই, কিন্তু অপমানিত হয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে নামতে হয়েছে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় শিল্পী শান্তব্রত নন্দন। হেতমপুর কলেজের সঙ্গে এখানে তাফাত একটাই। এ ক্ষেত্রে পড়ুয়ারা নন, অনুষ্ঠান বানচাল করার জন্য ওই শিল্পী দুষেছেন বাহিরাগতদের। একই মত কলেজের। বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার পরিচ্ছা বলছেন, ‘‘অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে ওই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে কলেজ ক্যাম্পাস যেহেতু খোলা, তাই বহিরাগতদের বাধা দেওয়ার কোনও উপায় ছিল না।’’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কলেজে নবাগত প্রায় ১৯০০ পড়ুয়াকে বরণ করার পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল কলেজের তরফেই। যেহেতু কলেজে ছাত্র সংসদের অস্তিত্ব নেই, অনুষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই অনুষ্ঠানেই ডাক পেয়েছিলেন শান্তব্রতবাবু। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়েও, যিনি বর্তমানে ওই কলেজেরই ছাত্রী। শান্তব্রতবাবুর অভিযোগ, গানের অনুষ্ঠান শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই বহিরাগত এক জন এসে তাঁকে বলেন, ‘এখানে সবাই আনন্দ করতে এসেছে, নাচানাচি করতে এসেছে। নাচানাচির গান যদি না হয়, তা হলে আমরা বক্সে গান চালিয়ে দেব।’ পাশ থেকে চটুল গান গাওয়ার জন্য এক দল চেঁচামেচি শুরু করে। এর পরে শান্তব্রতবাবুর মেয়ে একটি গান গাইলেও সেটা মনে ধরেনি বহিরাহতদের। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, হই-হট্টগোল, চেঁচামেচিতে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানই বন্ধ করতে হয়। শিক্ষকেরা চেষ্টা করেও অনুষ্ঠান চালাতে পারেননি।
নিজের পোস্টে শান্তব্রতবাবু সেই অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার কথা ‘শেয়ার’ করেছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ওই শিল্পী। অন্য কোথাও লিখিত অভিযোগও করেননি। তবে, সোশ্যাল মিডিয়া মারফত ঘটনা জানাজানি হওয়ায় শিল্পীর সমর্থনে সরব হয়েছেন সিউড়ি শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ।