বীরভূম জেলা পরিষদে মেন্টর এবং কো-মেন্টর নিয়োগের নির্দেশ দিল রাজ্যের পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর। ১৬ জানুয়ারি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের বিশেষ সচিবালয় থেকে বীরভূম জেলাশাসক এবং বীরভূম জেলা পরিষদের এগজিকিউটিভ অফিসারের কাছে এই নির্দেশ পাঠানো হয়। সিদ্ধান্ত হয়েছে, জেলা পরিষদের মেন্টর হবেন ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কো-মেন্টর হবেন রাজারাম ঘোষ। দু’জনেই জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য।
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে জেলাশাসকের কাছে আসা নির্দেশে জানানো হয়েছে, মেন্টর এবং কো-মেন্টরদের সঙ্গে জেলার যাবতীয় উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করতে হবে। মেন্টর এবং কো-মেন্টরদের জন্য আলাদা বসার ঘরের ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, মেন্টরদের ১০ হাজার টাকা মাসিক সাম্মানিক দেওয়া হবে। কো-মেন্টর পাবেন মাসিক ৫ হাজার টাকা। মেন্টর-এর যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থাও থাকবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক দীপ্তেন্দু বেরা জানান, নির্দেশ পাওয়ার পরে মেন্টর ও কো-মেন্টর নিয়োগ কার্যকর করা হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী জানান, সরকারি নির্দেশ মেনে মেন্টর এবং কো-মেন্টরদের বসার ঘর এবং অন্য নির্দেশ কার্যকর করা হবে।
জেলা পরিষদে মেন্টর এবং কো-মেন্টর নিয়োগ সংবিধান বিরোধী বলে দাবি করেছেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার রামপুরহাটে কংগ্রেসের আইন অমান্য আন্দোলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রদীপবাবু ওই কথা বলেন। তিনি রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করার দাবি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন।
তার জবাবে সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। এটাই জানি সরকারি নির্দেশ আমাদের কার্যকর করতে হবে। সেই মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’’ সরকারের নির্দেশ মেনেই কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন মেন্টর, কো-মেন্টররা।