আজ, মঙ্গলবার থেকে বাঁকুড়ায় শুরু হবে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া। প্রথম দিনে বোর্ড তৈরি হওয়ার কথা ১১টি পঞ্চায়েতে। তার মধ্যে দু’টির ক্ষমতায় আসতে পারে বিজেপি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিনে বোর্ড গড়া হবে বাঁকুড়া ১, বাঁকুড়া ২ ও ইঁদপুর ব্লকের ১১টি গ্রামপঞ্চায়েতে। বাঁকুড়া ১ ব্লকের কেঞ্জাকুড়া ও জগদল্লা ১ গ্রামপঞ্চায়েতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ইঁদপুরের রঘুনাথপুর গ্রামপঞ্চায়েতে বিজেপি ও তৃণমূল সমান সমান আসন রয়েছে। বাকি আটটি গ্রামপঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে।
গত বার বাঁকুড়া জেলার পঞ্চায়েতে বিজেপির অস্তিত্ব ছিল শুধু ওন্দা ব্লকের রামসাগরে। এ বার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ওই গ্রামপঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল। যদিও জেলা জুড়ে ন’টি গ্রামপঞ্চায়েত একক ভাবে জিতেছে বিজেপি।
জেলার প্রবীন বিজেপি নেতারা জানাচ্ছেন, ১৯৯৮ সাল থেকে কয়েক বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে লড়াই করে জেলার কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েত দখল করেছিল গেরুয়া বাহিনী। তবে সেই জোট ভেঙে যাওয়ার পরে বিজেপির অস্তিত্বও টের পাওয়া যেত না এই জেলায়।
২০১৩ সালে রামসাগর গ্রামপঞ্চায়েতে একক ভাবে ক্ষমতায় এসে চমক দিয়েছিল বিজেপি। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাদের জমি আরও কিছুটা পোক্ত হয়েছে।
বাঁকুড়া ১ ব্লকের দু’টি পঞ্চায়েতের পাশাপাশি ইঁদপুরের রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়া নিয়েও এখন আশাবাদী বিজেপি শিবির। দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র বলেন, “দু’টি গ্রামপঞ্চায়েতে আমাদের সদস্যেরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হওয়ায় বোর্ড আমরা গড়ছি। কিন্তু রঘুনাথপুরে লটারি হবে। ওখানেও বোর্ড গড়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। কেবল টসে জিতলেই হল।” রঘুনাথপুরে বোর্ড গড়া নিয়ে আশাবাদী তৃণমূলও। জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, “কোনও সন্দেহ নেই, রঘুনাথপুরে আমরাই বোর্ড গড়ব।”
এ দিকে পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন নিয়ে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিস্তরীয় গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও রকমের অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। যেখানে প্রধান নির্বাচন করা নিয়ে দলীয় সদস্যদের মধ্যে মতান্তর দেখা দেবে, সেখানে মুখবন্ধ খামে দল প্রধানের নাম পাঠাবে বলেই জানিয়ে রেখেছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি অরূপ খান। তিনি বলেন, “কোথাও প্রধান নির্বাচন নিয়ে কোনও মতান্তর নেই। যদি কোথাও সমস্যা হয় তখন যা করার করব।”
বাঁকুড়ার জেলা শাসক উমাশঙ্কর এস বলেন, “পঞ্চায়েতগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থাও থাকবে।”