ট্রেনের দেরি, অবরোধ

একরকম রোজই ট্রেন দেরিতে চলছে। সে জন্য স্কুলে, কলেজে, অফিস কর্মচারী থেকে নিত্যযাত্রী ব্যবসায়ীরা চরম নাকালের মধ্যে পড়ছেন। সেই ক্ষোভ গড়াল অবরোধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:০৭
Share:

রেললাইনে নেমে অবরোধ নিত্যযাত্রীদের। নিজস্ব চিত্র।

একরকম রোজই ট্রেন দেরিতে চলছে। সে জন্য স্কুলে, কলেজে, অফিস কর্মচারী থেকে নিত্যযাত্রী ব্যবসায়ীরা চরম নাকালের মধ্যে পড়ছেন। সেই ক্ষোভ গড়াল অবরোধে।

Advertisement

নিত্যযাত্রীরা বুধবার সকালে তারাপীঠ ও রামপুরহাট স্টেশনে রেল অবরোধ করলেন। তারাপীঠ স্টেশনে বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে আপ বর্ধমান বারহারোয়া প্যাসেঞ্জার এবং ডাউন সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান প্যাসেঞ্জার এই দুটি ট্রেনকে অবরোধ করেন তাঁরা। সকাল সাড়ে নটা থেকে আধ ঘণ্টা ট্রেন দুটিকে অবরোধ চলে। অন্যদিকে রামপুরহাট স্টেশনে ডাউন আজিমগঞ্জ-হাওড়া কবিগুরু এক্সপ্রেস ট্রেন টিকে সকাল পৌনে দশটা নাগাদ মিনিট পনের অবরোধ করা হয়। পরে মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে তাঁরা অবরোধ তুলে নেয়।

নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষের দিক থেকে প্রায় দিনই ট্রেন তিনটি দেরীতে চলাচল করছে। এর ফলে নিত্যযাত্রীদের তাঁদের কাজের জায়গায় পৌঁছতে দেরি হচ্ছে। সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইনে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন চালু হওয়ার পর থেকেই নিত্য দিন এই ভোগান্তি। সেই জন্য আজ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

এ দিকে ট্রেন অবরোধের জেরে মাদ্রাসা পরিক্ষার্থীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়ে। মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীরা ট্রেন চালু রাখার জন্য তারাপীঠ স্টেশন ম্যানেজারের দ্বারস্থ হয়। নিত্যযাত্রীরাও জানান মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে তাঁরা ট্রেন অবরোধ দীর্ঘক্ষণ চালিয়ে যাননি। তবে আগামীদিনে যদি ট্রেনগুলি নির্দিষ্ট সময়ে চলাচল না করে তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন বলে তাঁরা জানান। বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে রেলের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের কাছ থেকে আগামিদিনে নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চলাচল করার আশ্বাস মিলেছে বলে দাবি তাঁদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement