পুকুরে দেহ, বিজেপির দাবি খুন

সাঁইথিয়ার কালুরায়পুর গ্রামে থাকতেন মলয়। তাঁর পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত দু’জন তাঁকে টোটোয় পিকনিকের কিছু সামগ্রী নিয়ে যেতে হবে বলে ডেকে নিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০২:২০
Share:

প্রতীকী ছবি

এক টোটোচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয় মলয় ঘোষ (৩৭) নামে ওই টোটোচালকের দেহ। বিজেপি ও মৃতের পরিবারের দাবি, সক্রিয়ভাবে বিজেপি করতেন বলে মলয়কে খুন করা হয়েছে। পুরো ঘটনায় এখন থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি। তবে, মলয়ের মৃত্যুর জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব এবং মলয়ের বাড়ির লোকজন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাবে না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

সাঁইথিয়ার কালুরায়পুর গ্রামে থাকতেন মলয়। তাঁর পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত দু’জন তাঁকে টোটোয় পিকনিকের কিছু সামগ্রী নিয়ে যেতে হবে বলে ডেকে নিয়ে যান। রাত ১০টা বেজে যাওয়ার পরও তিনি না ফেরায় পরিজনেরা খোঁজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা খবর পান কোনারপুর গেটের কাছে একটি পুকুরে মলয়ের মৃতদেহ পড়ে আছে। এরপরেই পরিজনেরা সেখানে ছুটে যান। পৌঁছয় সাঁইথিয়া থানার পুলিশও। দেহ উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কোনারপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে তাঁর টোটোটিও উদ্ধার হয়।

মৃতের কাকা সুভাষ ঘোষের অভিযোগ, ‘‘আমাদের গোটা পরিবারই বিজেপি করে। মলয়ও দীর্ঘদিন বিজেপি করত। সেই কারণেই ওকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, লোকসভা ভোটে মলয় যে বুথের বাসিন্দা, সেই বুথে শাসক তৃণমূল পিছিয়ে ছিল। ওই অঞ্চলেও পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। সে জন্যই মলয়ের উপরে শাসক দলের কর্মীদের রাগ ছিল বলে দাবি সুভাষের। তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপি করার জন্য মাস তিনেক আগেও মলয়কে মারধর করা হয়েছিল। সেই সময়ও অভিযুক্তদের তালিকায় ওই দু’জন ছিল। যেখানে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে সেখানেই ওই দু’জনের বাড়ি।’’ মলয়ের পরিজনেরা জানান, মৃতদেহ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তাঁরা অভিযোগ করতে পারেননি। আজ, শুক্রবার সকালে তাঁরা লিখিত অভিযোগ করবেন বলে দাবি সুভাষের।

Advertisement

এ দিন বিকেলেই সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পৌঁছন বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল-সহ অন্য নেতারা। শ্যামাপদ বলেন, ‘‘তৃণমূল যেভাবে খুনের রাজনীতি করছে আমরা তা চাই না। আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব যে ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দোষীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।’’ তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে এমন অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এখন যেখানেই যা হচ্ছে বিজেপি তৃণমূলেরই জুজু দেখছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন